সুজন কৈরী: [২] রাজধানীর একটি হাসপাতালে রোগী নামিয়ে অ্যাম্বুলেন্স নিয়ে ময়মনসিংহে ফিরছিলেন তার মালিক সোহেল। বাড়তি রোজগারের আশায় পথে অ্যাম্বুলেন্সে যাত্রী তোলেন। কিন্তু সেই যাত্রীরাই তাকে মারধর করে টাকা-পয়সা ও মূল্যবান সামগ্রী ছিনিয়ে নেন। সেইসঙ্গে ছিনিয়ে নেয়া হয় জীবিকা নির্বাহের একমাত্র অবলম্বন অ্যাম্বুলেন্সটিও। উপায়ান্ত না পেয়ে চালক সোহেল স্মরণাপন্ন হন পুলিশ পরিচালিত জাতীয় জরুরি সেবার। সেখানে ফোনে বিষয়টি জানানোর পর পুলিশ অভিযান চালিয়ে অ্যাম্বুলেন্সটি উদ্ধার করে।
[৩] ৯৯৯ এর পরিদর্শক আনোয়ার সাত্ত¡ার বলেন, বুধবার ভোর পৌনে ৪টায় জাতীয় জরুরি সেবা নম্বরে অ্যাম্বুলেন্স চালক সোহেল ভালুকা থেকে ফোন করে জানান, কতিপয় দুষ্কৃতকারী তাকে মারধর করে নামিয়ে দিয়ে তার অ্যাম্বুলেন্সটি (ঢাকা মেট্রো-ছ-৭৫-০০৬০) ছিনিয়ে নিয়ে গেছে। সোহলে জানান, তিনি ঢাকায় একটি হাসপাতালে রোগী নামিয়ে দিয়ে ময়মনসিংহে ফেরার সময় পথে গাজীপুরের শ্রীপুরের মাওনা থেকে চারজন যাত্রী তোলেন। রাত পৌনে তিনটায় ময়মনসিংয়ের ত্রিশালের তেলেরঘাট পৌঁছালে ওই চার যাত্রী অস্ত্রের মুখে তাকে অ্যাম্বলেন্স থামাতে বাধ্য করেন। এরপর তার মোবাইল ফোনসেট ও টাকা-পয়সা কেড়ে নিয়ে তাকে মারধর করে নামিয়ে অ্যাম্বলেন্স নিয়ে চলে গেছে। তিনি একজন রিক্সাচালকের মোবাইল ফোন ব্যবহার করে ৯৯৯ এ ফোন করেছেন। তিনি জরুরী আইনী সহায়তার জন্য অনুরোধ জানান।
[৪] ৯৯৯ তাৎক্ষণিক কলারের সঙ্গে ময়মনসিংহ পুলিশ কন্ট্রোল রুমের কথা বলিয়ে দেয়। সেইসঙ্গে ভালুকা মডেল থানা এবং ভরাডোবা হাইওয়ে ফাঁড়িকেও বিষয়টি জানানো হয়। ৯৯৯ থেকে সংবাদ পেয়ে পুলিশের সব ইউনিট তৎপর হয়ে অভিযান চালায়।
[৫] ভালুকা মডেল থানার এসআই আবুল কালাম আজাদ ভোর পাঁচটায় ৯৯৯ কে ফোনে জানান, ভালুকার সি স্টোর হামিদ গার্মেন্টস সংলগ্ন স্থানে রাস্তার পাশে থামানো অবস্থায় অ্যাম্বলেন্সটি উদ্ধার করা হয়েছে।
[৬] তিনি আরও জানান, ছিনতাইকারীরা প্রথমে শাখা রাস্তা ধরে যাচ্ছিল, এক পর্যায়ে তারা হাইওয়েতে উঠলে সেটির তথ্য পেয়ে তারা অ্যাম্বলেন্সটিকে ধাও্য়া করেন। পুলিশের তৎপরতা টের পেয়ে ছিনতাইকারীরা অ্যাম্বুলেন্সটি রাস্তার পাশে রেখে পালিয়ে যায়। ছিনতাইকারীদের আটকের চেষ্টা চলচে। আইনী প্রক্রিয়া শেষে অ্যাম্বুলেন্সটি মালিককে বুঝিয়ে দেয়া হয়েছে।
আপনার মতামত লিখুন :