রাহুল রাজ : [২] স্বপ্ন ছিল হবেন বড় ফুটবলার। তার খেলার ধরন না কি ফরাসি ফরোয়ার্ড কিলিয়ান এমবাপ্পের মতো। যেকারণে তাকে এলাকান সবাই ডাকতো এমবাপ্পে নামেই। কিন্তু বাংলার সেই এমবাপ্পে হয়ে উঠেন দেশের দ্রুততম কিশোর।
[৩] ২০১৯ সালে সালে জুনিয়র অ্যাথলেটিক্স প্রতিযোগিতায় ১০০ মিটার স্প্রিন্টে ১১.৪১ (ইলেকট্রনিক্স টাইম) সেকেন্ড সময় নিয়ে দ্রæততম কিশোরের খেতাব জিতে নেয় খুলনার সামিউল ইসলাম।
[৪] ফুটবল কিংবা অ্যাথলেট দুটোতেই সামিউলের মুল শক্তি তার দুটো পা। যা দিয়েই নিজেকে এগিয়ে যাচ্ছিলেন তিনি। কিন্তু হঠাৎ এক দুর্ঘটনায় ভেঙে গেছে সামিউলের একটি পা। তাই তার স্বপ্নও প্রায় এখন ভেঙে যাওয়ার পথে।
[৫] আর দশটা পরিবারের মতো স্বাভাবিক জীবন সামিউলের নেই। পরিবারে আর্থিক অসচ্ছলতার কারণে বড় স্বপ্ন থাকলেও এপাড়া-ওপাড়ায় গিয়ে খ্যাপ খেলে সামিউল ইসলাম। যা রোজগার হয় সবই তুলে দিতেন বাবার হাতে। করোনার কারণে খেলা বন্ধ থাকায় বিপদে পড়তে হয় তাকে।
[৬] এমন সময় তার পরিবারের এক মাসের খরচ দিয়েছিলেন ওয়ানডে অধিনায়ক তামিম ইকবাল। কিন্তু এরপর আবারো জীবিকান তাগিদে খেলতে শুরু করতে হয় তাকে। খ্যাপ খেলতে গিয়ে এবার দুর্ঘটনার স্বীকার হয়েছেন তিনি।
[৭] তবে সামিউল জানান, আমি এখনই ভেঙে পড়বো না। সবার সহায়তা পেলে পায়ের অপারেশন করে আবারো মাঠে ফিরবো।