দেবদুলাল মুন্না : [২] এ তথ্যগুলো মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থার গোপন নথি, উইকিলিকস ও ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থা ‘র’ ভাষ্যমতে জানা যায়।
[৩] ১৯৭৫ সালের ২১শে মে, বাসায় ফেরার পথে গ্রেনেড হামলার শিকার হন বঙ্গবন্ধু। হামলায় তিনি প্রাণে বেঁচে গেলেও আহত হন তার দুই সঙ্গী। সরকারের কড়া নির্দেশনার কারনে কোন খবর প্রকাশিত হয়নি। মার্কিন রাষ্ট্রদূত ডেভিড বোস্টার ২৩শে মে এ সম্পর্কে ওয়াশিংটনে একটি তারবার্তা পাঠান। বোস্টার হামলাকারীদের পরিচয় ও হামলার স্থান সম্পর্কে কিছু জানাতে পারেননি। বিষয়টি প্রথম পত্রিকায় প্রকাশিত হয় ২০১৩ সালের ১৩ই এপ্রিল, ভারতের দ্য হিন্দু পত্রিকায় এবং বাংলাদেশের ডেইলি স্টার পত্রিকায়।
[৪] চীনের সেসময় প্রধানমন্ত্রী ছিলেন চৌ এন লাই (যিনি ১৯৪৯ থেকে ১৯৭৬ সাল পর্যন্ত)। উইকিলিকস জানায়, ৭৪ সালের জানুয়ারিতে চীনা গোয়েন্দা সংস্থার ৬ সদস্য বাংলাদেশে আসেন। তাদের আগে থেকে বাংলাদেশে মুজিববিরোধী শক্তির সঙ্গে যোগাযোগ ছিল। আরমানিটোলায় এক সামরিক কর্মকর্তার বাসায় তারা উঠেন। ২২ জানুয়ারি বিকালে শেখ মুজিব ধানমন্ডি ফেরার পথে কাকরাইল মোড়ে বোমা বিস্ফোরণ ঘটানো হয়। তখন তিন পথচারি মারা গেলেও বেঁচে যান বঙ্গবন্ধু।
[৫] চট্টগ্রামের বেতবুনিয়া ভূ-উপগ্রহ কেন্দ্র ৭৫সালের ১৪ জুন বঙ্গবন্ধু উদ্বোধন করতে যান। যে মঞ্চের পাটাতনে দাঁড়িয়ে সুইচ টিপে উদ্বোধনের কথা ছিল তার নিচেই পুুঁতে রাখা হয়েছিল টাইমবোমাটি। বঙ্গবন্ধু বেতবুনিয়া পৌঁছানোর আগেই নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা সেটিকে শনাক্ত ও নিষ্ক্রিয় করতে সক্ষম হন। এ তথ্য ‘র’ এর সূত্রের বরাতে ছেঁপেছিল কোলকাতার যুগান্তর পত্রিকা।