মিল্টন খন্দকার , জেরিন: [২] এসপি মোহাম্মদ আশরাফ হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
[৩] তিনি সাংবাদিকদের জানান, এটা একটা কারাগার। এখানে কোনো হত্যা মানে হেফাজতে মৃত্যু। এই প্রতিষ্ঠানের কোথায় গাফিলতি ছিল, এটা কীভাবে ঘটলো, কারা প্রহার করলো, কারা যুক্ত ছিল, এই বিষয়গুলো নিশ্চিত হতে সবাইকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছি। তথ্য প্রমাণের ভিত্তিতে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
[৪] কেন্দ্রটির ভেতরে অভ্যন্তরীণ নানা বিষয়ে অব্যবস্থাপনা নিয়ে কর্তৃপক্ষের ওপর আগে থেকেই অসন্তুষ্টি ছিল এই কিশোরদের। তার জেরে এই ঘটনা ঘটতে পারে বলে পুলিশ ধারণা করছে।
[৫] এছাড়া এই উন্নয়ন কেন্দ্রের ভেতরে কর্তৃপক্ষের দুটি গ্রুপে থাকা কিশোরদের অভ্যন্তরীণ কোন্দল থেকে সংঘর্ষের সূত্রপাত হতে পারে বলেও তারা জানতে পেরেছেন।
[৬] বৃহস্পতিবার দুপুরে সদর উপজেলার পুলেরহাট এলাকায় শিশু উন্নয়ন কেন্দ্রের অভ্যন্তরে সংঘর্ষে অন্তত ১৪ জন আহত হয়। কর্তৃপক্ষ হতাহতদের সন্ধ্যায় যশোর ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তিনজনকে মৃত ঘোষণা করেন।
[৭] আহত কিশোরদের অভিযোগ, শিশু উন্নয়ন কেন্দ্রের কয়েকজন কর্মকর্তা তাদের বেধড়ক পেটানোর কারণে এই হতাহতের ঘটনা ঘটেছে।
[৮] ওই শিশু উন্নয়ন কেন্দ্রে ২৭৭ জন কিশোরকে সংশোধনের জন্য রাখা হয়েছিল বলে জানা গেছে। নিহত তিন কিশোরের মধ্যে দুইজন হত্যা মামলার এবং একজন ধর্ষণ মামলার আসামি বলে নিশ্চিত করেছে পুলিশ। সূত্র: সময় টিভি, ডেইলি বিডি
আপনার মতামত লিখুন :