লিহান লিমা: [২]এই চুক্তির আওতায় ইসরায়েল পশ্চিম তীরের দখলকৃত বৃহত্তর একটি অংশ থেকে নিজেদের সার্বভৌমত্বের দাবি প্রত্যাহার করে নেবে। বৃহস্পতিবার রাতে টুইট বার্তায় মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প দুই দেশের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক পুরোদমে চালুর ঘোষণা দিয়ে বলেন, আমাদের দুই বন্ধু দেশের মধ্যে ঐতিহাসিক শান্তি চুক্তি স্বাক্ষরে একমত হয়েছে। জেরুজালেম পোস্ট
[৩]পারস্য উপসাগরীয় আরব দেশগুলোর মধ্যে ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপন করা তৃতীয় দেশ আমিরাত। এর আগে ১৯৪৮ সালে নিজেদের স্বাধীনতা ঘোষণার পর মিশর ১৯৭৯ সালে এবং জর্ডান ১৯৯৪ সালে ইসরায়েলের সঙ্গে শান্তিচুক্তি স্বাক্ষর করে।
[৪] যুক্তরাষ্ট্রে আমিরাতের রাষ্ট্রদূত এই চুক্তিকে ‘কূটনীতি এবং আঞ্চলিক জয়’ বলে উল্লেখ করেন। ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনইয়ামিন নেতানিয়াহু টুইটে বলেন, ‘ঐতিহাসিক দিন।’
[৫] যুক্তরাষ্ট্র, ইসরায়েল ও আমিরাতের যৌথ বিবৃতিতে বলা হয়েছে, দুই দেশ যুক্তরাষ্ট্রের ‘মধ্যপ্রাচ্য শান্তি পরিকল্পনা’তে যোগ দেবে। আগামী সপ্তাহে দুই দেশের প্রতিনিধি দল বিনিয়োগ, সরাসরি বিমান চলাচল, নিরাপত্তা ও প্রযুক্তি খাত নিয়ে দ্বিপক্ষীয় চুক্তি স্বাক্ষর করতে এক হবেন। দুই দেশ শীঘ্রই দূতাবাস এবং কূটনৈতিক নিয়োগ দেবে।
[৬]ওভাল অফিসে দেয়া বিবৃতিতে ট্রাম্প বলেন, ‘আমি মনে করি এর মধ্য দিয়ে সম্পর্কের শীতলতা কাটবে এবং মুসলিম ও অন্যান্য আরব দেশগুলো আমিরাতকে অনুসরণ করবে।’
[৭] তবে ফিলিস্তিনের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ এই চুক্তির নিন্দা জানিয়েছেন। ফিলিস্তিন প্রশাসনের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা হাসান আশওয়ারি বলেন, ‘ফিলিস্তিনে অবৈধভাবে দখলদারিত্ব শুরুর পর থেকে এ পর্যন্ত ইসরায়েল যা যা করেছে তা প্রকাশ্যে না এনেই ইসরায়েলকে পুরস্কৃত করা হয়েছে।’ তিনি আরো বলেন, ‘আমিরাতকে ইসরায়েলের সঙ্গে গোপন চুক্তি সামনে আনতে হবে।’ আল জাজিরা। সম্পাদনা: ইকবাল খান
আপনার মতামত লিখুন :