শিরোনাম
◈ পাকিস্তানের আকাশে এক রহস্যময় দৃশ্য! গোপনে ভয়ংকর কোনো অস্ত্রের পরীক্ষা নাকি প্রাকৃতিক ঘটনা? ◈ পরিবেশ ও নদী রক্ষা করে সমন্বিত যোগাযোগ ব্যবস্থা গড়ার আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার ◈ বাংলাদেশে চীনের সহায়তায় ড্রোন উৎপাদন কারখানা স্থাপন করছে বিমানবাহিনী, ডিসেম্বরেই শেষ হবে নির্মাণকাজ ◈ ১৯ বছর পর ময়নুলকে দেশে ফিরিয়ে আনলো সেনাবাহিনী ◈ দেশেই ড্রোন ও অস্ত্র উৎপাদন: প্রতিষ্ঠা হচ্ছে বিশেষায়িত ডিফেন্স ইকোনমিক জোন ◈ মিশরে বিশ্বের সবচেয়ে বড় জাদুঘর চালু, কী আছে সেখানে ◈ যে কারণে সকাল থেকে রাজধানীতে তীব্র যানজট, কারণ জানাল ডিএমপি ◈ ‘নৌকা’ উপহার নিয়ে বিপাকে উপদেষ্টা, কী করবেন জানতে চাইলেন ফেসবুকে ◈ বিশ্ব ইজতেমা নির্বাচনের আগে হচ্ছে না: ধর্ম উপদেষ্টা ◈ বিএনপি-জামায়াত টানাপোড়েনে বিব্রত সরকার, উদ্যোগ নিয়েছে সমঝোতার

প্রকাশিত : ১২ আগস্ট, ২০২০, ০২:৩০ রাত
আপডেট : ১২ আগস্ট, ২০২০, ০২:৩০ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

[১] রাজবাড়ীতে টিআর প্রকল্পের কাজ না করে টাকা আত্মসাতের অভিযোগ

মো.ইউসুফ মিয়া, রাজবাড়ী প্রতিনিধি : [২] জেলার রাজবাড়ী সদর উপজেলার বসন্তপুর ইউনিয়নে গ্রামীণ অবকাঠামো রক্ষণাবেক্ষণ (টিআর) প্রকল্পের কাজ না করেই আড়াই লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে দুই ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ নেতার বিরুদ্ধে।

[৩] বিষয়টি নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন খোদ ইউপি চেয়ারম্যান এবং ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ।

[৪] জানা গেছে, ২০১৯-২০ অর্থ বছরে দ্বিতীয় পর্যায়ে গ্রামীণ অবকাঠামো রক্ষণাবেক্ষণ (টিআর) প্রকল্পগুলোর মধ্য থেকে বসন্তপুর ইউনিয়নের ১ ও ৯ নম্বর ওয়ার্ডে দু’টি প্রকল্পের আওতায় ২ লাখ ৫৮ হাজার টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়। কিন্তু কাজ না করেই উপজেলার সহকারী প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা বিজয় কুমার প্রামাণিকের সাথে যোগসাজশ করে প্রকল্পের পুরো টাকা তুলে নেন প্রকল্পের সভাপতি দুই আওয়ামী লীগ নেতা।

[৫] ১ নম্বর ওয়ার্ডের শায়েস্তাপুর ঈদগাহ থেকে ইসলাম মোল্লার বাড়ী পর্যন্ত রাস্তা সংস্কারের জন্য বরাদ্দ দেওয়া হয় ১ লাখ ২৯ হাজার টাকা। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, এই রাস্তায় এক ঝুড়ি মাটিও ফেলেননি প্রকল্পের সভাপতি ও ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আমিনুল হক মুকুল। অথচ প্রকল্পের পুরো টাকাই তুলে নিয়েছেন তিনি। একইভাবে ৯ নম্বর ওয়ার্ডের বড় ভবানীপুর গ্রামের জুবায়েরের পোল্ট্রি ফার্ম থেকে ফাহিম মেম্বারের বাড়ী পর্যন্ত ইটের রাস্তার পাশে মাটি ফেলে সংস্কারের জন্যও বরাদ্দ দেওয়া হয় ১ লাখ ২৯ হাজার টাকা। কিন্তু নামমাত্র কিছু মাটি ফেলে প্রকল্পের সভাপতি ও ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি শাহিন ফকির শাফিন পুরো টাকাই তুলে নিয়েছেন শাহিন ফকির শাফিন।

[৬] এ বিষয়ে বসন্তপুর ইউপির চেয়ারম্যান মীর্জা বদিউজ্জামান বাবু বলেন, প্রকল্পের সভাপতিরা টাকা তুলে নিলেও আসলে রাস্তা দু’টিতে কোন কাজ করা হয়নি।

[৭] বসন্তপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল মান্নান মিয়া বলেন, তাদের কারণে আমাদের দলেরও বদনাম হচ্ছে।

[৮] সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো.সাঈদুজ্জামান খান বলেন, যদি প্রকল্পের সভাপতিরা রাস্তায় কাজ না করে টাকা আত্মসাৎ করে থাকেন তাহলে তাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সম্পাদনা: জেরিন আহমেদ

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়