রাজু চৌধুরী : [২] জাতীয় শুদ্ধাচার কৌশল কর্ম-পরিকল্পনা অনুযায়ী ২০১৯-২০ অর্থ বছরে বিভাগীয় পর্যায়ে শুদ্ধাচার পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ ইলিয়াস হোসেনসহ তিন জন। অন্য দু’জন হচ্ছে-চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার কার্যালয়ের সিনিয়র সহকারী কমিশনার ও বিভাগীয় কমিশনারের পি.এস খোন্দকার মো. ইখতিয়ার উদ্দিন আরাফাত এবং উন্নয়ন শাখার উচ্চমান সহকারী নেপাল কান্তি দাশ।
[৩] সোমবার সকাল ১১টায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে আনু আনুষ্ঠানিকভাবে তাদের হাতে শুদ্ধাচার পুরস্কার হিসেবে ক্রেস্ট, সনদপত্র ও বেসিকের সমপরিমান নগদ অর্থ তুলে দেন চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার এবিএম আজাদ এনডিসি।
[৪] গত ২৬ জুলাই অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (উন্নয়ন) ও সদস্য সচিব, নৈতিকতা কমিটি বিভাগীয় কার্যালয় মোহাম্মদ মিজানুর রহমান স্বাক্ষরিত এক চিঠির মাধ্যমে তাঁদেরকে মনোনীত করার বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়। কর্মক্ষেত্রে পেশাগত জ্ঞান, দক্ষতা, সততা, শৃংখলাবোধ, কর্তব্যনিষ্ঠা, ভালো আচরণ, তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহারে পারদর্শিতা, উদ্ভাবন চর্চা, সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার, ই-ফাইল ব্যবহারে আগ্রহ, অভিযোগ প্রতিকারে সহযোগিতা ও স্বপ্রণোদিত তথ্য প্রকাশে আগ্রহসহ সরকারের বিভিন্ন উন্নয়ন সূচকে নিষ্টার সাথে দায়িত্ব পালনের স্বীকৃতি হিসেবে সরকারীভাবে এ তিনজনকে বিভাগীয় পর্যায়ে জাতীয় শুদ্ধাচার পুরস্কারের জন্য মনোনীত করা হয়।
[৫] চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনারের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (সার্বিক) শংকর রঞ্জন সাহা।
[৬] প্রধান অতিথির বক্তব্যে চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার এবিএম আজাদ এনডিসি বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সুখী সমৃদ্ধশালী সোনার বাংলা বিনির্মাণে শুদ্ধাচার চর্চার কোন বিকল্প নেই। প্রশাসন যত বেশি শুদ্ধ হয়ে মানুষের প্রতি সেবামুখী হবে ততই জাতির কল্যাণ হবে। বঙ্গবন্ধু কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশের উন্নয়ন কর্মকান্ড আরো ত্বরান্বিত করতে হলে প্রত্যেককে অবশ্যই শুদ্ধাচার কৌশল অবলম্বন করতে হবে। লোভ সংবরণ করে শুদ্ধাচার চর্চা করতে পারলে একদিকে মানুষ উপকৃত হবে অন্যদিকে নিজেরা সর্বত্র সম্মানিত হবে।সম্পাদনা: জেরিন আহমেদ