ইসমাঈল ইমু : [২] মেজর (অব.) সিনহা মো. রাশেদ খানের মৃত্যুর ঘটনায় টেকনাফ ও রামু থানায় দুটি মামলা করেছিল পুলিশ। একটি মামলায় সিনহার সঙ্গী সাহেদুল ইসলাম সিফাত ও অন্যটিতে শিপ্রা দেবনাথকে আসামি করা হয়। তারা দু'জনই স্টামফোর্ড ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থী।
[৩] সিফাত ও শিপ্রা হতে পারেন সিনহা হত্যা মামলার মূল সাক্ষী। তদন্ত সংস্থা র্যাব মনে করছে, সিফাতের সামনেই যেহেতু ঘটনা ঘটেছে, তাই এ মামলায় তার বক্তব্য আগে জানা দরকার। র্যাব বলছে, সিফাত ও শিপ্রার বক্তব্য জানার পর রিমান্ডে নিয়ে টেকনাফ থানার সাবেক ওসি প্রদীপ কুমার দাশসহ অন্যদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। সিফাতের বক্তব্য আগে জানার দরকার বলেই সাত আসামিকে রিমান্ডে নেওয়া হয়নি।
[৪] সাবেক আইনমন্ত্রী ব্যারিস্টার শফিক আহমেদ বলেন, সিফাত ও শিপ্রার বিরুদ্ধে মামলায় করা অভিযোগ সত্য না হলে তারা মামলা বাতিল বা কোয়াশমেন্টের আবেদন করতে পারেন। এরপর তারা চাইলে সাক্ষীও হতে পারেন। আদালতে নিজেরা অথবা আইনজীবীর মাধ্যমে আবেদন করে তারা বলতে পারেন যে ওই ঘটনায় তারা সাক্ষী হিসেবে বক্তব্য দিতে চান।
[৫] র্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক লে. কর্নেল আশিক বিল্লাহ বলেন, ময়নাতদন্ত ও সুরতহাল প্রতিবেদন চেয়ে রোববার তারা আদালতে আবেদন করেছেন। সোমবার থেকে আসামিদের এনে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।
[৬] এদিকে সিনহার মৃত্যুর ঘটনাকে কেন্দ্র করে আরও যে তিন মামলা হয়েছে, তার তদন্তভার র্যাবে যাচ্ছে। এরই মধ্যে এসব মামলার তদন্ত র্যাবের কাছে দিতে আবেদন করা হয়েছে। শিগগিরই এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত হবে।