মঈন উদ্দীন: [২] পুলিশ হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত দুই ব্যক্তিকে গ্রেপ্তারের মাধ্যমে এর রহস্য উদঘাটন করেছে। গ্রেপ্তার দুইজন হলো- পুঠিয়ার বানেশ্বর থান্দারপাড়া গ্রামের ইদল আলীর ছেলে মো. সাকিব (২৪) এবং একই গ্রামের মৃত খয়েরের ছেলে মো. সাগর (২৩)। এরা মাদকসেবী বলে জানিয়েছে পুলিশ। সানি নাটোর এনএস কলেজে হিসাববিজ্ঞান বিভাগের চতুর্থ বর্ষের ছাত্র ছিলেন।
[৩] হত্যাকাণ্ডের আগের রাতে সাকিব নিহত সানিকে তার বাবার দোকান থেকে ডেকে নিয়ে গিয়েছিলেন। শনিবার দিবাগত রাতে পুলিশ চারঘাটের মৌগাছি এলাকা থেকে সাকিবকে গ্রেপ্তার করে। পরে তার দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে সাগরকেও গ্রেপ্তার করা হয়।
[৪] রোববার দুপুরে জেলার পুলিশ সুপার মো. শহিদুল্লাহ সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন। সেখানে তিনি জানান, নিহত সানির একটি ১০০ সিসির মোটরসাইকেল ছিল। মাদকসেবী সাকিব ও সাগর মাদকের টাকা জোগাড় করতে তার মোটরসাইকেলটি নিতেই সানিকে হত্যা করে। ডেকে নিয়ে যাওয়ার পর তারা ফেনসিডিলের সঙ্গে সানিকে ঘুমের ওষুধ খাইয়ে দেয়া হয়েছিল।
[৫] এরপর অচেতন হয়ে পড়লে তার গলা ও হাত-পায়ের রগ কেটে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়। গ্রেপ্তারের পর আসামিরা এসব তথ্য দিয়েছে। তাদের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে পুঠিয়ার বানেশ^র বাজারের একটি গ্যারেজ থেকে সানির মোটরসাইকেলটিও উদ্ধার করা হয়েছে। আর সাকিবের বাড়ি থেকে উদ্ধার করা হয়েছে মোটরসাইকেলের চাবি। এসপি জানান, গ্রেপ্তারের পর রোববার দুপুরে আসামিদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। সম্পাদনা: জেরিন আহমেদ