শিরোনাম
◈ নির্বাহী আদেশে কোনো রাজনৈতিক দলকে নিষিদ্ধ করা আমরা সমর্থন করি না: সালাহউদ্দিন আহমদ ◈ গণআন্দোলন রুখতে কড়া প্রস্তুতি: গবেষণায় নামছে ভারতের গোয়েন্দা সংস্থাগুলো ◈ জাপানে জনশক্তি রপ্তানিতে নতুন উদ্যোগ: ‘জাপান ডেস্ক’ চালু, ভাষা প্রশিক্ষণ ও কর্মসংস্থানে বিস্তৃত কর্মপরিকল্পনা ◈ চূড়ান্তভাবে একীভূত হচ্ছে পাঁচ ব্যাংক, বসছে প্রশাসক ◈ ফরিদপুরে আসন পুনর্বিন্যাস নিয়ে অসন্তোষ, যা বলছেন ইসি সচিব ◈ পুলিশের ৯ কর্মকর্তাকে যে কারণে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠাল সরকার ◈ প্রবাসীদের কল্যাণে মালদ্বীপে হাইকমিশনের নতুন উদ্যোগ ◈ দুর্গাপূজা উপলক্ষে ভারতে যাবে ১,২০০ মেট্রিক টন ইলিশ, রপ্তানির অনুমোদন পেলো ৩৭ প্রতিষ্ঠান ◈ ঢাকায় তাপমাত্রা বেড়েছে জাতীয় গড়ের চেয়ে বেশি, স্বাস্থ্য ও অর্থনীতি হুমকির মুখে ◈ ভুয়া জুলাই শহীদ-যোদ্ধাদের নাম তালিকা থেকে বাদ, জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা: মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রণালয়

প্রকাশিত : ০৭ আগস্ট, ২০২০, ১০:৫০ দুপুর
আপডেট : ০৭ আগস্ট, ২০২০, ১০:৫০ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

আতিক খান : টিকটকে কি শিক্ষামূলক কিছু আছে?

আতিক খান : ক্ষমতা, খ্যাতি আর অর্থ এই তিনটি একসঙ্গে কিংবা আলাদাভাবে যারা সামলাতে পারে, তারাই প্রকৃত মানুষ। এসব অর্জন করেও যারা নিরহংকার, নম্র আর বিনয়ী থাকে তাদের উপর আপনি ভরসা করতে পারেন। সমস্যা হয়, এগুলো রাতারাতি চলে এলে বেশির ভাগ মানুষ সামলাতে পারে না। কারও গর্বে মাটিতে পা পড়ে না, কারও কলার উঁচু হয়ে যায়, অনেকেই আশপাশের মানুষদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার শুরু করেন এবং তাদের প্রত্যাশাও তখন হয়ে যায় আকাশচুম্বী। এরা অন্যদের কাছ থেকে তখন তেল আর তোয়াজ আশা করেন। না পেলে মেজাজ খারাপ হয়ে যায়। আর চাটুকার, তেলবাজরা কিছু সুবিধা পাওয়ার জন্য তাদের আশপাশে ভিড় জমায়। অল্প বয়সে হলে তো কথাই নেই। সোশ্যাল মিডিয়ার বদৌলতে এরকম চরিত্র এখন বিশ্বব্যাপী ভুরি ভুরি। তাদের বেশির ভাগই অর্থ, খ্যাতি কিংবা ক্ষমতা সামলাতে না পেরে পথভ্রষ্ট হয়ে যায়। আমাদের টিকটক অপু বা অপু ভাইও সেরকম একটা চরিত্র। টিকটক ভারত পুরো বন্ধ করে দিয়েছে, আমেরিকা বন্ধ করার জন্য দুই সপ্তাহের নোটিশ দিয়েছে। আমাদেরও উচিত টিকটক জাতীয় অ্যাপ বন্ধ করে দেওয়া। এরমধ্যে শিক্ষামূলক বা নিছক বিনোদনমূলক উপকরণ খুব সামান্যই। বেশির ভাগই ট্রল, অশ্লীলতা আর স্থূল মাত্রার বিনোদন।

পাটক্ষেত মাথায় নিয়ে চলাফেরা করা অপুর নাকি হাজার হাজার ফলোয়ার। কারা এই চিড়িয়ার ফলোয়ার? ঠিক কি দেখে ফলোয়ার হয়েছে? মাথার পাটক্ষেত নাকি বাণী চিরন্তনী আওড়ানোর পর দাঁত বের করে যে হাসি দেয় সেটার? যদিও আমি কমেন্ট বক্সে পাবলিকের গালাগালি ছাড়া কমেন্ট বেশি দেখিনি। তাদের উপরে তোলায় মিডিয়ারও ভালো অবদান আছে। মিডিয়া তাদের পরিচয় করিয়ে দেয় স্টার, হার্টথ্রব আর তারকা হিসেবে। (মুখ খারাপ করলাম না।) উত্তরার রাস্তা বন্ধ করে এই টিকটিক নায়কের শুটিং চলছিলো। অনুরোধ করার পরেও এরা সরেনি। যাত্রীরা প্রতিবাদ করায় অপু আর তার সাঙ্গপাঙ্গরা যাত্রীর উপর হামলা করে মাথা ফাটিয়ে দিয়েছে। কী দুঃসাহস তাদের। সামান্য টিকটিক তৈরি করে এতো তেজ...সরকারি রাস্তাও নিজের বাপের বলে মনে করে এদের বাবা-মায়েদেরও এসব চিড়িয়া তৈরিতে অবদান আছে। কিছু শাস্তি উনাদেরও প্রাপ্য। অপুভাই এখন চৌদ্দশিকের মধ্যে। টিকটকের ভূত মাথা হতে না নামা পর্যন্ত এসব ‘অপু ভাইদের’ রিমান্ডে নিয়ে ভালোমতো ধোলাই দেওয়া দরকার। ফেসবুক থেকে

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়