লাইজুল ইসলাম : [২] ঈদ উল আযহার আগে কোনো স্বাস্থ্যবিধি তৈরি করতে পারেনি সংশ্লীষ্ট দপ্তরগুলো। তাই কোনো ধরনের নির্দেশনা না থাকায় যেভাবে সেভাবে চলছে পর্যটকদের থাকা-খাওয়া ও চলাচল। স্বাস্থ্যবিধি না মেনেই কক্সবাজার ও কুয়াকাটায় সমুদ্র সৈকতে পর্যটকদের ভীড়।
[৩] কক্সবাজারে ঘুরে এসে এক পর্যটক জানান, এতদিন ঘরে বন্দি থেকে আমরা অস্থির হয়ে উঠেছিলাম। তাই কক্সবাজারে গিয়ে ঘুরে আসলাম। সেখানে যে হোটেলে ছিলাম তা ভালো ছিলো। তবে কক্সবাজারে পর্যটকরা ঘুরছেন কোনো স্বাস্থ্যবিধি না মেনেই। প্রশাসনেরও তেমন তোরযোর চোখে পরেনি বলে জনান তিনি।
[৪] কুয়াকাটায় ঘুরে এসে একজন বলেন, সেখানে স্বাস্থ্য বিধির কোনো বালাই নেই। যে যার মতো করে ঘুরছে। এক মোটরসাইকেলে আরোহিসহ তিনজন উঠছে। মনেই হয়নি কোভিড বলতে কিছু আছে।
[৫] কুয়াকাটার সেঞ্চুরি ট্রেজার আইল্যান্ড রিসোর্ট এন্ড বাটারফ্লাই পার্কের স্বত্তাধীকারি এমজিআর নাসির মজুমদার বলেন, আমরা চেষ্টা করেই বা কি লাভ। কেউ কিছুই মানছেন না। আমাদের রুম খালি হওয়ার পর নিয়ম অনুযায়ী ডিসইনফেকশন করা হয়। তবে সারাদিন সি-বিচে মানুষ ঘুরে বেড়াচ্ছেন স্বাস্থ্য বিধি না মেনে।
[৬] কক্সবাজারের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক হোটেল মালিক বলেন, ৫ আগস্ট কক্সবাজার জেলা প্রশাসকের অফিসে জুম মিটিং হয়েছে। সেখানে সিদ্ধান্ত হয়েছে ১৭ তারিখ থেকে কক্সবাজার পৌরসভার ভেতরের হোটেল-মোটেল-রিসোর্ট সীমিত আকারে খুলে দেয়া হবে। কিন্তু সীমিত আকারে বলতে কি সেই বিষয়ে কোনো গাইড লাইন দেয়নি।
[৭] তিনি আরো বলেন, এখন যারা বেড়াতে এসেছেন তারা থাকছেন অবৈধভাবে। হোটেলগুলো সব বন্ধ থাকার কথা। তবে কিছু হোটেল খোলা আছে যেখানে বিদেশী এনজিওর কর্মীরা আছে। সেসব হোটেলেও অনেকে থাকছেন।