অহিদ মুুকুল নোয়াখালী : [২] এসময় সন্ত্রাসীদের হামলায় অরো তিনজন গুরত্বর আহত হয়েছেন। এঘটনায় এক ইউপি সদস্যসহ ৩ জনকে আটক করেছে পুলিশ।
[৩] বুধবার রাতে উপজেলার চরজব্বার ইউনিয়নের কাঞ্চন বাজারে এ সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা ঘটে। নিহত কৃষক আবুদল মান্নান উপজেলার পশ্চিম চরজব্বার গ্রামের মজিবুল হকের ছেলে।
[৪] আহতরা হচ্ছেন, পশ্চিম চরজব্বার গ্রামের নুর আলমের ছেলে পল্লী চিকিৎসক আবুল কাশেম (৩০), মো. রাসেল (২২) ও জয়নাল আবেদীনের ছেলে হেলালউদ্দিন (৩৬)।
[৫] নিহত কৃষক আবদুল মান্নানের ছোট ভাই আওয়ামীলীগ নেতা সফিকুর রহমান জানান, করোনা ভাইরাসের সংক্রমণের প্রাক কালে স্থানীয় ইউপি সদস্য বাহার উদ্দিন বৃদ্ধ মফিজুর রহমানকে বয়স্ক ভাতা প্রদানের জন্য তার কাছ থেকে এক হাজার টাকা ঘুষ নেয়। এর কিছুদিন পর ওই বৃদ্ধা ইউপি সদস্য বাহার উদ্দিন কে ভাতা অথবা ঘুষের টাকা ফেরত দেওয়ার জন্য ছাপ প্রয়োগ করলে বাহার বৃদ্ধাকে মারধর করে।
[৬] ওই ঘটনায় আমার চাচাত ভাই যুবলীগ কর্মী মঞ্জু প্রতিবাদ করলে বাহারের ছেলে বেন্ডা ও স্থানীয় মজিবুল হক মাঝির ছেলে ইসমাঈলের নেতৃত্বে একদল সন্ত্রাসী তাকে পিটিয়ে আহত করে। ওই ঘটনায় গত ১০ এপ্রিল মঞ্জু বাদী হয়ে চরজব্বার থানায় মামলা দায়ের করেন।
[৭] এর জেরধরে বুধবার রাতে স্থানীয় কাঞ্চন বাজারে ইউপি সদস্য বাহার উদ্দিন ও মজিবুল হক মাঝির ছেলে ফজলুল হক ফজলুর নেতৃত্বে ইসমাঈল হোসেন, আনিছ, আবুল কালাম, আবদুল আলী, আজাদ হোসেন সহ ১৫-২০ জন সন্ত্রাসী মঞ্জুকে না পেয়ে বাজারে ফাঁকা গুলি ছুঁড়ে আমার ভাই আবদুল মান্নান ও আমাদের আত্মীয়-স্বজনের উপর হামলা চালিয়ে এলো পাতাড়ি কুপিয়ে দোকান-পাট লুট করে চলে যায়।
[৮] পরে স্থানীয় লোকজনের সহযোগিতায় গুরত্বর আহত আবদুল মান্নান, আবুল কাশেম, মো. রাসেল ও হেলাল উদ্দিনকে উদ্ধার করে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করলে কর্তব্যরত চিকিৎসক আবদুল মান্নানকে মৃত ঘোষণা করেন।
[৯] চরজব্বার থানার ওসি সাহেদ উদ্দিন জানান, দু’পক্ষের সংঘর্ষে একজনের মৃত্যুর ঘটনায় স্থানীয় ইউপি সদস্য বাহার উদ্দিন সহ তিন জনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে। এ ঘটনায় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সম্পাদনা: সাদেক আলী