জবি প্রতিনিধি : [২] ঈদের দিনে ভোলার চরফ্যাশনে সন্ত্রাসী হামলার শিকার হলেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্মেসি বিভাগের ১৩ ব্যাচের ছাত্র বনি ইয়ামিন রাফি। এসময় তার বাম হাত ভেঙ্গে ফেলা হয় এবং তার বাবা ও ছোটভাইকে বেধড়ক মেরে দোকান ভাঙচুর করে লুটপাট করে আমিনাবাদ ইউপি সদস্য ইউসুফের নেতৃত্বে একদল সন্ত্রাসী। পহেলা আগষ্ট (শনিবার) বিকেলে চরফ্যাশনের আমিনাবাদ ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডে এ ঘটনা ঘটে।
[৩] ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী ও স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানা যায়, চরফ্যাশনের আমিনাবাদ ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডে রাফির পরিবারের ইলেকট্রিক, প্লাস্টিক মালামাল ও ফ্লেক্সিলোডের দোকান। স্থানীয় ইউপি সদস্য ইউসুফ মেম্বারের ভাতিজা মোশারফ একটি ফ্লেক্সি কার্ড চাইলে রাফি তাকে কার্ড দেন। পরে মোশারফ কার্ডটি ঘসে দিতে বলেন। দোকানে অন্যান্য ব্যস্থতার কারনে রাফি কার্ডটি ঘসে দিতে অস্বীকৃতি জানালে সে রাফিকে অকথ্য গালি দিয়ে টাকা না দিয়েই চলে যায়। পরে রাফি তার বাবাকে জানালে তার বাবা মোশারফের চাচা ইউসুফ মেম্বারকে জানালে কিছুক্ষন পর মোশারফ একটা সন্ত্রাসী গ্রুফ নিয়ে দোকানে হাজির হয়। 'আমার নামে কেন বিচার দিয়েছিস' -একথা বলে তাকে চেয়ার থেকে কলার ধরে বের করে বেধড়ক মারে। এতে তার বাঁ হাত ভেঙ্গে যায়। এর কিছুক্ষন পরে ইউসুফ মেম্বার দলবল নিয়ে এসে তার বাবা ও ভাইকে মারধর করে এবং দোকান ভাঙচুর করে মালামাল ক্ষতিগ্রস্ত করে প্রায় ৩৫ হাজার টাকা লুটপাট করে নিয়ে যায়। এসময় তার ছোটভাই কায়েস ও ইসতিহাদ মারাত্মকভাবে আহত হয়। এ ঘটনায় জড়িতরা হলো ইউসুফ মেম্বার, তার ভাতিজা মোশারফ, ইউনুস, আরিফ, মোসলেম, নিজাম ইসমাইলসহ আরো কয়েকজন।
[৪] নিউজের কমেন্টস নিতে ইউসুফ মেম্বারকে ফোন দিলে তিনি তার ভাইকে দিয়ে ফোন করিয়ে 'আমি যুবলীগ নেতা' পরিচয় দিয়ে একটি জাতীয় দৈনিক প্রত্রিকার সাংবাদিককে অকথ্য গালি দিয়ে বিভিন্ন হুমকি দেন।
[৫] এবিষয়ে বনি ইয়ামিন রাফি বলেন, আমাদের দোকান লুটপাট করেছে, আমার হাত ভেঙ্গে দিয়েছে, বাবা ও ভাই দুইটা মারাত্মকভাবে জখম হয়েছে। এতে আমাদের অনেক বড় একটা ক্ষতি হয়ে গেল। এ বিষয়ে আমি আমার বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টরকে অভিহিত করে থানায় অভিযোগ দিয়েছি। আমি এর সুষ্ঠু বিচার চাই।
[৬] এ বিষয়ে ইউসুফ মেম্বার বলেন, এমন একটা ঘটনা ঘটেছে। আমি স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাদের নিয়ে এটার সমাধান করে দিব।
[৭] জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. মোস্তফা কামাল বলেন, আমাকে ভুক্তভোগী ছাত্রের বাবা ফোন করেছে। আমি সেখানকার প্রশাসনের সাথে কথা বলবো।