সিরাজুল ইসলাম : [২] জ্যেষ্ঠ এক নির্বাচন কর্মকর্তা বলেন, সেনাবাহিনী রাখাইনকে অনিরাপদ ঘোষণা করলে কিছু অংশের নির্বাচন স্থগিত করা হতে পারে। রয়টার্স
[৩] কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশনের চেয়ার হ্লা থেইন বলেন, প্রতিরক্ষা ও স্বরাষ্ট্র সেনাবাহিনীর নিয়ন্ত্রণে। তারা নির্ধারণ করবেন- কোন অঞ্চল স্থিতিশীল। তাদের সুপারিশ ছাড়া আমরা কিছুই করবো না।
[৪] ফোনকল গ্রহণ না করায় সেনাবাহিনীর মুখপাত্রের বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
[৫] ৮ নভেম্বর দেশটিতে পার্লামেন্ট নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। সেনাবাহিনীর নিয়ন্ত্রণ থেকে মুক্ত হওয়ার জন্য এ নির্বাচনকে বেশ গুরুত্বের সঙ্গে দেখছেন বিশ্লেষকরা। কিন্তু নভেল করোনাভাইরাস মহামারী এবং ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর সহিংসতার কারণে এর প্রস্তুতি নিতে জটিলতা তৈরি হয়েছে।
[৬] রাখাইনের আইনপ্রণেতা মং হ্লা ক্যা বলেন, পার্লামেন্টে প্রতিনিধি না থাকলে এ অঞ্চলের মানুষের দুর্ভোগ আরও বাড়বে। নিরাপত্তার অজুহাতে নির্বাচন স্থগিত হলে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার ওপর থেকে মানুষের আস্থা চলে যাবে।
[৭] ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর সহিংসতার কারণে ২০১৫ সালে অনেক এলাকায় নির্বাচন হয়নি।
[৮] দীর্ঘদিনের বিরোধী দল ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্রেসি (এনএলডি) ২০১৬ সালে ক্ষমতায় আসে। এর প্রধান অং সান সূচি। বৌদ্ধ সংখ্যা গরিষ্ঠ দেশটিতে দলটি খুবই জনপ্রিয়। রাখাইনের আঞ্চলিক দল রাখাইন এথনিক পার্টি, আরাকান ন্যাশনাল পার্টির শক্ত অবস্থান ছিলো। তবে স্থানীয় প্রশাসনে তারা খুব ভূমিকা রাখতে পারেনি। রাখাইনের স্বায়ত্তশাসনের জন্য দীর্ঘদিন ধরে যুদ্ধ করছেন বিদ্রোহীরা।
আপনার মতামত লিখুন :