ইসমাঈল ইমু : [২] মরণঘাতী কোভিড-১৯ এর ঝুঁকি নিয়ে মাঠে লড়ছেন বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর অকুতোভয় সদস্যরা। সমতল এলাকা থেকে শুরু করে দুর্গম পাহাড়েও তৎপর তারা। এ পরিস্থিতিতে নিজেদের উদ্বৃত্ত রেশন অসহায়দের বাড়ি বাড়ি পৌঁছে দিচ্ছেন।
[৩] সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল আজিজ আহমেদের সার্বিক নির্দেশনায় প্রতিটি সেনাসদস্য নিজেদের জীবনকে বাজি রেখে ‘অপারেশন কোভিডশিল্ড’ নামে করোনাযুদ্ধে অবতীর্ণ হয়েছেন। চার মাসের বেশি সময় ধরে দেশের ৬২টি জেলায় কোভিড নিয়ন্ত্রণে ইন এইড টু নিভিল পাওয়ার এর আওতায় স্থানীয় প্রশাসনের সঙ্গে একযোগে কাজ করে যাচ্ছে।
[৪] জানা গেছে, বর্তমানে সেনাবাহিনীর ৫ হাজার ৮৬ জন্য শান্তিরক্ষী ৭টি দেশের ৮টি শান্তিরক্ষা মিশনে মোতায়েন রয়েছে। দেশগুলো হলো- ডিআর কঙ্গোতে ১ হাজার ৩৫৫, মালিতে ১ হাজার ২০৫, সেন্ট্রাল আফ্রিকান রিপাবলিকে ১ হাজার ৭১, সাউথ সুদানে ১ হাজার ৪২৮, দারফর সুদানে ২, ওয়ের্স্টান সাহারায় ২০, সুদানে ১ ও লেবাননে ১ জন।
[৫] এ পর্যন্ত কোভিডে আক্রান্তের সংখ্যা ৪০জন, সুস্থ হওয়ার সংখ্যা-২১ জন এবং একজনও মারা যাননি। বর্তমানে কোয়ারেন্টাইন সংখ্যা- ৩২ জন। বাংলাদেশী শান্তিরক্ষীরা কোভিড প্রতিরোধে স্থানীয় জনসাধারণের মধ্যে নিম্নবর্ণিত সহায়তা প্রদান করছে। ওইসব দেশে স্থানীয়দের মাঝে মাস্ক ও হ্যান্ড স্যানিটাইজার বিতরণ। কোভিড নিরোধে স্থানীয়দের মাঝে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা এবং স্বাস্থ্য সচেতনতামূলক প্রেষণা প্রদান ও চিকিৎসা সেবা প্রদান করছে সেনাবাহিনীর সদস্যরা।
[৬] প্রধানমন্ত্রী কোভিড মোকাবিলায় যুদ্ধ ঘোষণা করার পর সেনাবাহিনী এই যুদ্ধে সর্বতোভাবে নিয়োজিত থেকে দেশ ও জনগণের কল্যাণে আত্মনিবেদন করেছে। প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ ও কল্যাণ তহবিলে সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে এরইমধ্যে আর্থিক সহায়তা দেয়া হয়েছে। সেনাবাহিনীর সকল পদবির সদস্যের একদিনের বেতনের পাশাপাশি সেনাকল্যাণ সংস্থা, বাংলাদেশ মেশিন টুলস ফ্যাক্টরি লিমিটেড, বাংলাদেশ ডিজেল প্ল্যান্ট লিমিটেড এবং ট্রাস্ট ব্যাংক লিমিটেডের পক্ষ থেকে ২৫ কোটি টাকা দেয়া হয়। সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল আজিজ আহমেদ দেশের এই ক্রান্তিকালে সেনাবাহিনীকে জনগণের সেবায় আত্মনিয়োগের সুযোগ প্রদান করার জন্য প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন।
[৭] দেশের বিভিন্ন জেলায় কর্মহীন গরিব ও অসহায় মানুষের মাঝে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যসামগ্রী পৌঁছে দিতে সেনাবাহিনীর তত্ত্বাবধানে আয়োজন করা হয় ‘এক মিনিটের বাজার’, ‘সম্প্রীতির বাজার’, ‘সেনাবাজার’। প্রান্তিক ক্ষতিগস্ত কৃষকদের সহায়তার জন্য সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে সরাসরি তাদের নিকট থেকে সবজি ক্রয় করা হয়।