তাড়াশ (সিরাজগঞ্জ) প্রতিনিধি: [২] সিরাজগঞ্জের তাড়াশে কারেন্ট জাল ব্যবহার করে বিভিন্ন প্রজাতির মা মাছ ও পোনা নিধন।
[৩] উপজেলার অধ্যুষিত চলবিলের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত গুমানী, আত্রাই, গুড়, করতোয়া, বড়াল, ভদ্রাবতীসহ বিভিন্ন নদ-নদী ও খাল-বিল এখন বর্ষার পানিতে টইটুম্বুর। বর্ষার পানি আসার সঙ্গে সঙ্গে মৎস্য ভাণ্ডার খ্যাত দেশের অন্যতম এই বিলে দেশীয় প্রজাতির ডিমওয়ালা মা ও পোনা মাছ নিধনের মহোৎসব শুরু হয়েছে। সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত নিষিদ্ধ কারেন্ট জাল, মশারি দিয়ে তৈরি নেট জাল, বেড় জাল, বাদাই জালসহ নানা উপকরণ দিয়ে মা মাছ ও পোনা মাছ নিধনে মেতে ওঠেছে এক শ্রেণির অসাধু মৎস্য শিকারি। টাকি, টেংরা, মোয়া, শিং, মাগুড় এমন কি মৎস অফিস থেকে উন্মুক্ত জলাশয়ে অবমুক্ত করা বিভিন্ন প্রজাতির মাছের পোনা ধরতেও দ্বিধাবোধ করছেন না তারা। করোনাকালীন অলস সময় কাজে লাগিয়ে নানা শ্রেণি-পেশার মানুষের মাছ শিকারের প্রবণতা আরও বেড়েছে।
[৪] জানা গেছে, উপজেলার বিভিন্ন হাট-বাজারেও প্রকাশ্যে বিক্রি হচ্ছে অবৈধভাবে ধরা এসব দেশীয় প্রজাতির মাছ। প্রতি কেজি টেংরা তিনশ থেকে চারশ, মোয়া মাছ দুইশ থেকে তিনশ, ডিমওয়ালা মাগুড় ছয়শ থেকে এক হাজার, টাকি মাছের পোনা দুইশ থেকে তিনশ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। আর প্রতি বছরের মতো এবারও নিশ্চুপ উপজেলা প্রশাসন ও মৎস্য বিভাগ।
[৫] উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মসগুল আজাদ বলেন, আমরা প্রতিনিয়ত ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করছি।