সমীরণ রায় : [২] আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের আরও বলেন, চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়ক চার লেনে উন্নতীকল্পে ইতিমধ্যে জাইকার অর্থায়নের নীতিগত অনুমোদন পাওয়া গেছে। চট্টগ্রামের মেট্রোরেল স্থাপনের লক্ষে কার্যক্রম শুরু হয়েছে। সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের পাশাপাশি অর্থায়নের বিষয়ে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রণালয় ইআরডির মাধ্যমে চেষ্টা অব্যাহত রেখেছে।
[৩] সড়ক পরিবহন মন্ত্রী বলেন, দেশে অবকাঠামো উন্নয়ন অনেক হয়েছে, তবুও এখনও সড়কে শৃঙ্খলা ফিরে আসেনি। এনিয়ে বিআরটিএকে নিয়েও অনেক অভিযোগ রয়েছে। সর্ষের মধ্যে ভূত অবশ্যই তাড়াতে হবে। সড়ক ও সেতু উন্নয়নে প্রধানমন্ত্রীর অগ্রাধিকার ভিত্তিতে বরাদ্দ দিলেও সড়কে শৃঙ্খলা না ফেরায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন তিনি। একই সঙ্গে সড়ক নির্মাণ কাজের গুনগত মান নিয়েও প্রশ্ন তোলেন কাদের।
[৪] চট্টগ্রাম ও পার্বত্য এলাকায় পাহাড়ি ঢলের আশংকা থাকায় আগে থেকেই প্রস্তুতি নেওয়ায় নির্দেশ দিয়ে তিনি বলেন, শেখ হাসিনার সরকার বন্যাদুর্গত মানুষের পাশে আছে। সরকারের পাশাপাশি আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরাও মানবিক সহায়তা নিয়ে তাদের পাশে আছে। এছাড়া সড়কের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সবাইকে ঈদযাত্রা নির্বিঘ্ন করতে ও মানুষকে স্বস্তি দিতে অবিরাম বৃষ্টির কারণে ক্ষতিগ্রস্ত সড়ক সঙ্গে সঙ্গে মেরামত করার আহবান জানান।
[৫] কাদের বলেন, শেখ হাসিনা সরকারের এক অনন্য উদ্যোগ কর্ণফুলী টানেল। এ টানেল সম্প্রসারণের পাশাপাশি বদলে দেবে বন্দরনগরীর উন্নয়ন চিত্র। এ টানেলের দুটো টিউবের একটির খনন কাজ প্রায় ৯০ ভাগ শেষ হয়েছে। এছাড়া সরকার কক্সবাজার থেকে ইনানী পর্যন্ত মেরিন ড্রাইভ ৩২ ফুট প্রশস্তকরণের উদ্যোগ নিয়েছে। এ প্রকল্পের প্রস্তুতি দ্রুত শেষ করতে সংশ্লিষ্টদের প্রতি আহ্বান জানান সেতুমন্ত্রী।
[৬] তিনি আরও বলেন, বিআরটিসি দেশের পতাকাবাহী গণপরিবহন। সরকার এ প্রতিষ্ঠানের সক্ষমতা বাড়ানোর চেষ্টা করেছে। দুর্নীতি থেকে বেরিয়ে না আসলে প্রতিষ্ঠান টেকানো কঠিন হবে। অনিয়ম বন্ধ করতে হবে এবং সতর্ক বা সংশোধন না হলে কাউকে ছাড় দেয়া হবে না।
[৭] বুধবার চট্টগ্রামে সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরে চট্টগ্রাম সড়ক জোন, বিআরটিসি, বিআরটিএ, টানেল প্রকল্পের অগ্রগতি ও ঈদ প্রস্তুতি নিয়ে তাঁর সরকারি বাসভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সে যুক্ত হয়ে তিনি এসব কথা বলেন। সম্পাদনা : খালিদ আহমেদ
আপনার মতামত লিখুন :