রাশিদ রিয়াজ : [২] হিউস্টনে চীনা দূতাবাস ৭২ ঘন্টার মধ্যে বন্ধ করার সময় সীমা শেষ হওয়ার পর সেখানে ঢুকে পড়ে মার্কিন ফেডারেল স্টাফরা। এর পাল্টা ব্যবস্থা হিসেবে সোমবার চেংদু কনস্যুলেট থেকে মার্কিন পতাকা নামিয়ে দিয়েছে চীন। দিন কয়েক আগেই যুক্তরাষ্ট্রের ওই কনস্যুলেট বন্ধের নির্দেশ দেয়ার পরেও ওই কনস্যুলেটে কাজ চলছিল বলে চীনের সরকারি সংবাদমাধ্যমের এক প্রতিবেদনে বলা হয়। স্পুটনিক
[৩] এর আগে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও চীনের সমালোচনা করে দাবি করেন, গুপ্তচরবৃত্তির কেন্দ্র ছিল হিউস্টনের চীনা দূতাবাস। পম্পেওর আগে ফ্লোরিডার রিপাবলিকান সিনেটর মার্কো রুবিও ওই চীনা কনস্যুলেটকে ‘কমিউনিস্ট পার্টির বিশাল চরবৃত্তির নেটওয়ার্কের মূল ঘাঁটি’ বলে কটাক্ষ করেন।
[৪] বেইজিং’এর পাল্টা বক্তব্য, চেংদুতে মার্কিন কনস্যুলেটের লাইসেন্স বাতিল করা হচ্ছে। সেখানে আর কোনো কাজ চালানো যাবে না। একপাক্ষিক সিদ্ধান্ত নিয়ে হিউস্টনে চীনা দূতাবাস বন্ধ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। তাদের একতরফা সিদ্ধান্তের জেরেই আইন মেনে মার্কিন দূতাবাস বন্ধের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
[৫] এরপর সোমবার দেখা যায় চেংদুর ওই কনস্যুলেটে মার্কিন পতাকা অর্ধনমিত। চীনের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের চেংদুত শহরে অবস্থিত মার্কিন দূতাবাস ত্যাগ করেছে যুক্তরাষ্ট্রের কর্মীরা। এর আগে কনস্যুলেটটি বন্ধ করে দিতে ওয়াশিংটনের মতই ৭২ ঘণ্টার সময় বেঁধে দিয়েছিল বেইজিং।
[৬] নির্ধারিত সময় শেষ হওয়ার আগেই সোমবার ওই দূতাবাস থেকে বেরিয়ে যান মার্কিন কূটনৈতিকসহ কর্মীরা। এ সময় সেখান থেকে যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় পতাকা নামিয়ে কনস্যুলেট ভবনটি বন্ধ করে দেয় চীনা প্রশাসন। এমনকি দেয়াল থেকে সরিয়ে ফেলা হয় কনস্যুলেটের নাম ফলকও।
[৭] হিউস্টনে মার্কিন দূতাবাস থেকে যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তাদের বেরিয়ে যাওয়ার সময় ভবনটির বাইরে বিপুল সংখ্যক উৎসুক জনতা ভিড় জমিয়েছিলেন। তখন তাদেরকে এ দৃশ্য ভিডিও করতে এবং ছবি তুলতে দেখা যায়। সোমবার সকালে চীনের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন সিসিটিভি অনলাইনে পোস্ট করা ভিডিওতে দেখানো হয়, যুক্তরাষ্ট্রের পতাকা নামিয়ে ফেলা হচ্ছে। এ সময় ভবনটির বাইরে মোতায়েন করা হয় কয়েক ডজন পুলিশ। তারা প্রত্যক্ষদর্শীদের সরে যেতে বলেন।
আপনার মতামত লিখুন :