শিরোনাম
◈ রাতে বাংলামোটরে জুলাই পদযাত্রার গাড়িতে ককটেল হামলা (ভিডিও) ◈ যুক্তরাষ্ট্রের বাড়তি শুল্ক মোকাবেলায় বাংলাদেশের চার দফা কৌশল ◈ বিআরটিএর মোটরসাইকেল রেজিস্ট্রেশন নিয়ে কঠোর নির্দেশনা ◈ সাবেক এমপি নাঈমুর রহমান দুর্জয় গ্রেপ্তার ◈ শ্রীলঙ্কার বিরু‌দ্ধে অবিশ্বাস্য ব্যাটিং ধসে বাংলাদেশ হার‌লো ৭৭ রা‌নে ◈ ২০ বছরেও অধরা এমআই-৬'র ভেতরের রুশ গুপ্তচর! (ভিডিও) ◈ নারী ফুটবলের এই অর্জন গোটা জাতির জন্য গর্বের: প্রধান উপদেষ্টা ◈ প্রবাসীদের জন্য স্বস্তি: নতুন ব্যাগেজ রুলে মোবাইল ও স্বর্ণ আনার সুবিধা বাড়লো ◈ একযোগে ৩৩ ডেপুটি জেলারকে বদলি ◈ 'মধ্যপ্রাচ্যে সিলেট-ব্রাহ্মণবাড়িয়ার লোকেরা ঘোষণা দিয়ে মারামারি করে' (ভিডিও)

প্রকাশিত : ২৪ জুলাই, ২০২০, ১০:৫২ দুপুর
আপডেট : ২৪ জুলাই, ২০২০, ১০:৫২ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

এবিএম ফকরুল আলম রুবেল: শখের উদ্যোক্তাদের সামলাবে কারা?

এবিএম ফকরুল আলম রুবেল: কবি, কাক এবং ফটোগ্রাফারদের পর বাংলাদেশের বর্তমানে সবচেয়ে বড় সমস্যার নাম অন্তপ্রনিউরশীপ। সবাই উদ্যোক্তা। বিজনেস স্টাডিজে এই ব্যাপারটাকে ভয়ানক বলে আখ্যা দেয়া হয়েছে। একটা সমাজে সবাই উদ্যোক্তা হতে পারেনা। এক চতুর্থাংশ বা এক তৃতীয়াংশ উদ্যোক্তা হতে পারে বাকিরা হবে কনজুমার বা ভোক্তা।

কোভিড ক্রাইসিসের শুরু থেকে ধ্বস নামে ফিক্সড বিজনেসম্যানদের ব্যবসায়। কারণ হচ্ছে টাইমিং। তাদের একটা টং, কার্ট, বা স্থায়ী দোকান যাই থাকুক না কেন, পর্যাপ্ত সময় ধরে খোলা রাখতে না পারার ইফেক্ট ছিল খুবই ভয়াবহ। ঢাকার ৪০ শতাংশ ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীর ঢাকা ছেড়ে চলে যাবার প্রধান কারণ ব্যবসায় মন্দা।

এই সাময়িক গ্যাপ ফিলাপ করতে এগিয়ে এসেছে ব্যাঙ্গের ছাতার মত হাজার হাজার উদ্যোক্তা। রাতে এখন আর কেউ ঘুমায় না, লাইভ করে। লাইভ করাটা এখন একটা নবতর স্ট্যাটাসে পরিণত হয়েছে। সাইড বিজনেস থাকা ভালো, এমনকি বাড়তি চাহিদা মেটাতে প্রয়োজনীয়, কিন্ত তার মানে এই না দিনে অফিস করবেন, আর রাতে লাইভ করবেন। ডেলিভারী সার্ভিস সহজলভ্য হওয়াতে এখন সবাই উদ্যোক্তা। সবাই বিক্রয় করছে কিছু না কিছু। কেউ ভালো ভাত রান্না করতে পারেন, সেটাও বেঁচার চেষ্টা করছে। পরিচয় ও দিচ্ছে এভাবে, আমি অমুক, কাজ করছি ভাত নিয়ে।

ভাত নিয়ে কি আসলে কাজ করার কিছু আছে? প্রশ্ন রাখলাম।

আমি প্রকৃত উদ্যোক্তাদের সম্মান জানাই। উদ্যোক্তা কি?

যারা বাঁশ কিনে, সেই বাঁশের কচি অংশ দিয়ে তরকারী বানায়ে বিক্রয় করে। বাঁশের ছাল দিয়ে বেড়া বানায়ে বিক্রয় করে, বাঁশের কাঠ অংশ দিয়ে আসবাব বানায়ে বিক্রয় করে।

আমাদের উদ্যোক্তারা ২০ টাকায় বাঁশ কিনে ৩০ টাকায় বিক্রয় করে। এই দশ টাকা লাভকেই বিশেষ কিছু মনে করে। অথচ ডেলিভারী খরচই আছে ৭-৮ টাকা হয়তো।

কোভিডে মুড়ির মত উদ্যোক্তার জন্ম হয়েছে। আমি সাধুবাদ জানাই। কিন্তু কমে গেছে ভোক্তা। প্রকৃত ভোক্তারা আবার করছে কিপটামো। তারাও যেহেতু এখন সেলার এর দলে, তাদের কনজিউম করার ইচ্ছে কমে যাচ্ছে। মার্কেটের অবস্থা হয়ে যাচ্ছে ভয়াবহ। একই দই বড়া বানাচ্ছে ১০০ লোক। অথচ এই মুহুর্তে ১০০ জন ক্রেতাও নাই কেনার মত।

কিছু বিশেষজ্ঞ আবার বিনিময় প্রথা সিস্টেমের কিছু গ্রুপ চালু করেছে। আমি চিনি বেঁচি, আপনি বেঁচেন আম। আমি সেই চিনি বেঁচে আম কিনবো টাইপ। কিন্তু শুধুমাত্র এই উদ্যোক্তা গ্রুপকে কাস্টোমার ভেবে একটা ফেক সেন্স অফ বিজনেস সিকিউরিটি সৃষ্টি হয়েছে। প্রকৃত পক্ষে এই উদ্যোক্তারা আপনার ক্রেতা নন। আপনার ক্রেতা যে ভোক্তা সমাজ তার আশে পাশে দিয়েও আপনি যেতে পারছেন না। আপনার ব্যবসা ল্যাগ ফেজে যাবার আগেই ডিক্লাইন ফেজে চলে যাবে।

সর্বশেষে বলি, যখন বিক্রেতা বেড়ে যায় পন্যের যোগান বাড়ে। যোগান বাড়লে দাম কমে। দাম কমলে মুনাফা কমে। আর মুনাফা কমলে বিজনেসে সাসটেইন করাই টাফ হবে আপনাদের জন্য।
এক জায়গার পন্য কিনে সীমিত লাভে আরেক জায়গায় বেঁচে দিলেই উদ্যোক্তা হওয়া যায় না।
বরং প্রকৃত ভোক্তা হোন। আর যারা দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা করছেন তারা উদ্যোক্তা হোন।
শখের গোয়েন্দাদের সামাল দিয়েছে এই বাংলা, শখের উদ্যোক্তা সামলাবে কারা?
#বাউন্ডুলে

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়