ইসমাঈল আযহার: [২] বগুড়ার সারিয়াকান্দি, ধুনট, শেরপুর ও সোনাতলা উপজেলায় বন্যায় ফসলের ক্ষতি হয়েছে প্রায় ৭৭ কোটি টাকার। আর বসতভিটা, ফসলসহ জমি হারিয়ে দিশেহারা ৪৫ হাজার কৃষক। ডিবিসির খবরে ৪৫ হাজার উল্লেখ করলেও প্রথম আলোর প্রতিবেদনে এই সংখ্যা আরো দুই হাজার বাড়িয়ে ৪৭ হাজার বলা হয়েছে।
[৩] কৃষকদের অভিযোগ, ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে দাঁড়াতে কৃষি বিভাগের আশ্বাস বাস্তবায়ন হয় না কখনোই। প্রথম দফায় বন্যা স্থায়ী হয় ২৫শে জুন থেকে ১৪ দিন। এসময় ক্ষতিগ্রস্ত হন অন্তত ৪৫ হাজার কৃষক। আর এ পর্যন্ত সাত হাজার ৩০৪ হেক্টর জমির বীজতলাসহ বিভিন্ন ফসলের আর্থিক ক্ষতির পরিমাণ প্রায় ৭৭ কোটি টাকা।
[৪] জুলাইয়ের মাঝামাঝিতে পানি নেমে যাওয়ার কিছুদিনের মধ্যেই আবারও বাড়তে শুরু করে যমুনার পানি। দেখা দেয় বন্যা, এখন বাড়ছে বাঙালি নদীর পানি। তবে আমনের বীজতলা, রবি শস্য ও কৃষকদের নানা প্রণোদনা দেয়ার আশ্বাস কৃষি বিভাগের।
[৫] কৃষকদের একজন বলেন, ‘বন্যার পানিতে আমনের সব বীজতলা নষ্ট হওয়ায় আসছে মৌসুমে দেখা দেবে বীজ সংকট। প্রতিবার বন্যায় কৃষি বিভাগ বিভিন্ন আশ্বাস দিলেও বাস্তবায়ন হয় না কখনোই।’
[৬] জেলা প্রশাসনের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা শাখা সূত্রে জানা গেছে, বন্যায় প্রতিবছরই জেলায় ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়। ২০১৫ ও ২০১৪ সালের বন্যায় এখানে প্রায় আড়াই শ কোটি টাকার ফসলের ক্ষতি হয়েছিল। ২০১৭ সালের বন্যায় ফসলের ক্ষতি হয় ১১১ কোটি টাকার। গত বছর বন্যায় ফসলের ক্ষতির পরিমাণ ১২৬ কোটি টাকা। প্রথম আলো