সমীরণ রায় : [২] বাসদ সাধারণ সম্পাদক বলেন, চট্টগ্রাম বন্দরে পণ্য খালাসে ভারতীয় পণ্যকে অগ্রাধিকার জাতীয় স্বার্থ পরিপন্থী। এর আগেও দেখেছি, সরকারের চূড়ান্ত নতজানু পররাষ্ট্রনীতির ফলে বিভিন্ন সময়ে ভারতের সঙ্গে প্রকাশ্য ও গোপন নানা দেশবিরোধী চুক্তি হয়েছে। দেশ ও জনগণের স্বার্থ বিসর্জন দিয়ে ভারতকে পণ্য খালাসে চট্টগ্রাম বন্দর ব্যবহার করার অনুমতি দেয়া তারই নজির।
[৩] তিনি বলেন, ২০১৮ সালের অক্টোবরে দিল্লিতে চট্টগ্রাম ও মংলা সমুদ্র বন্দর ব্যবহার করে ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যগুলোতে পণ্য সরবরাহ করতে চুক্তি স্বাক্ষর হয়। সেই চুক্তি অনুযায়ী সাম্প্রতিক সময়ে পরীক্ষামূলকভাবে পণ্য পরিবহন শুরু করেছে ভারত। ওই চুক্তিতে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ বাংলাদেশের আমদানি-রপ্তানি পণ্যের ক্ষেত্রে যে ধরণের সুযোগ সুবিধা দিয়ে থাকে ভারতের পণ্যের ক্ষেত্রেও একই সুবিধা দেয়া হবে। পাশাপাশি ভারতকে প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে।
[৪] খালেকুজ্জামান বলেন, একদিকে যেমন সীমান্ত হত্যা বন্ধ ও বিচারের বিষয়ে সরকারের বিন্দুমাত্র উদ্বেগ নেই। অন্যদিকে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর চরম অবমাননাকর বিবৃতির সঙ্গে সুর মিলিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রীও সীমান্তে হত্যার জন্য দেশের মানুষকেই দায়ী করছেন। বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতসহ অন্যান্য সকল রাষ্ট্রের সব জনস্বার্থবিরোধী চুক্তি বাতিল ও নতজানু পররাষ্ট্রনীতি পরিহারের দাবি জানান তিনি।
[৫] বুধবার এক বিবৃতিতে তিনি এসব কথা বলেন। সম্পাদনা : রায়হান রাজীব