শিরোনাম
◈ হাসিনা-কামালকে ফেরাতে ভারতের কাছে পাঠানোর চিঠি প্রস্তুত হচ্ছে : পররাষ্ট্র উপদেষ্টা ◈ পরিবর্তন করা হয়েছে জাতীয় আইনগত সহায়তা সংস্থার (লিগ্যাল এইড) হেল্পলাইন নম্বর ◈ স্পর্শকাতর এলাকায় থাকবে বডি ক্যামেরা, কমবে সংখ্যা : অর্থ উপদেষ্টা ◈ ক্লাউডফ্লেয়ার বিভ্রাটে বিশ্বজুড়ে ওয়েবসাইট অচল: এক্স (X), স্পটিফাই সহ হাজারো সাইটে সমস্যা! ◈ এবার রেকর্ড সংখ্যক তরুণ প্রথম ভোট দেবে: প্রধান উপদেষ্টা ◈ 'হাসিনার রায়ের দিন কেন বন্দরের চুক্তি স্বাক্ষর হল', প্রশ্ন আব্দুন নূর তুষারের (ভিডিও) ◈ প্রথম খেল‌তে নে‌মেই তা‌মি‌মের সেঞ্চু‌রি, ঢাকা - রাজশাহী ম‌্যাচ ড্র  ◈ রায়ের দিন কলকাতায় আ'লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির নেতাদের মিটিং (ভিডিও) ◈ ৫৩ ‘জুলাই যোদ্ধার’ গেজেট বাতিল ◈ হাসিনাকে যে কারণে ফেরত দেবে না ভারত

প্রকাশিত : ২১ জুলাই, ২০২০, ১১:৫১ দুপুর
আপডেট : ২১ জুলাই, ২০২০, ১১:৫১ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

আর রাজী: ইতিহাস পাঠ, ইতিহাস থেকে কেউ শিক্ষা নেয় না

আর রাজী : রাষ্ট্রক্ষমতা যখন কেউ ছলে-বলে-কৌশলে দখল করে (যেমন করেছিল ব্রিটিশের পূর্বভারতীয় কোম্পানি), তখন সব সময় একটা অনিশ্চয়তা ক্ষমতাসীনদের ঘিরে থাকে। তার বা তাদের এই ভয়ের মূল কারণ, এইটি নিশ্চিতভাবে জানা থাকা যে, ক্ষমতা হারালেই ভয়ানক নিষ্ঠুর পরিণতি ভোগ করতে হয়। এই ভয় থেকে ক্ষমতাসীনরাও নিষ্ঠুর হয়ে ওঠে। নিজেদের জীবন রক্ষার্থে সহস্রজীবনকে বলি দিতে তার কোনো দ্বিধা থাকে না। মানুষের জীবন নিয়ে এই খেলা অনেক নৃপতির পতনের পর আমরা এই ভূখণ্ডেও দেখেছি।

অনেক সময় হত্যাকাণ্ড জুলুম দৃশ্যমান হলেও এই ছলে-বলে-কৌশলে ক্ষমতা দখলদারদের কর্মকাণ্ডের অপ্রত্যক্ষ ফল হিসেবে মারা যায় আরও হাজারো মানুষ। এই অপ্রত্যক্ষ মৃত্যুটা মূলত ঘটে আকস্মিক কোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগকালেও ক্ষমতাসীনদের ‘সার্বিক পরিস্থিতি স্বাভাবিক আছে, আমরা অত্যন্ত দক্ষতার সাথে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে পেরেছি’ এইটি দেখানোর কারণে। কিন্তু পরিস্থিতি স্বাভাবিক আছে, ঘাবড়ানর কিছু নেই- এই রকম একটা আবহাওয়া জারি রাখার জন্য ক্ষমতাসীনদের মূলত যে কাজটি করতে হয় তা হলো, সাধ্যমতো তথ্য-উপাত্তগুলো বদলে ফেলা এবং তথ্য-উপাত্ত চেপে যাওয়া। পরিস্থিতির উন্নতি ঘটানোর চেয়ে তথ্য বিকৃতি, তথ্য গোপনের কাজটি করা অপেক্ষাকৃত সহজ মনে করে তারা এই কাজটি করতে থাকে। মনে রাখা দরকার, ছলে-বলে-কৌশলে ক্ষমতা দখলকারীরা নৈতিকভাবে দুর্বল থাকে বলে কাজ ও কথা দিয়ে তারা মানুষের মন জয়ের একটা চেষ্টা করে বটে কিন্তু নৈতিকভিত্তিহীনতার কারণে জনসমর্থন না থাকায়, অচিরেই তারা দুর্নীতিবাজ-তোষামদকারীদের খপ্পরে পড়ে যায়। সুতরাং কথাবাজি ছাড়া ইচ্ছা থাকলেও তাদের আর কিছু করারও থাকে না।

এদিকে গভীর ও দীর্ঘ সংকটকালে মানুষ মুক্তির জন্য এমনিতেই অস্থির হয়ে ওঠে, তারা স্বাভাবিক পরিস্থিতিতে ফিরে যাওয়ার জন্য উদগ্রীব থাকে। ফলে মানুষ নেতিবাচক তথ্য-উপাত্ত পেলে বরং সেটিকেই নাকচ করে দেয় এবং নিজেও স্বাভাবিক জীবন-যাপন শুরু করে। কিন্তু বাস্তবে যেহেতু সংকট থেকে পরিত্রাণের কোনো উপায় বা পন্থা হাজির থাকে না ফলে অচিরেই বহু মানুষ তাদের নিজ নিজ স্বাভাবিক আচরণের বলি হয়। আসলে এমন একটা পরিস্থিতি তৈরি থাকে যেখানে মানুষ আত্মহত্যা করতে প্রলুব্ধ হয়। আর ক্ষমতাসীনরা তখনও তাদের লুটপাট অব্যহত রাখে, মাঝে মাঝে সংকট বা দুর্যোগ মোকাবেলার জন্য গুরুতর বা জোরালো পদক্ষেপ নেওয়ার অভিনয় করে এবং চরম পরিস্থিতিতে সামরিক শক্তি প্রয়োগেও দ্বিধা করে না। কারণ ক্ষমতায় টিকে থাকাটা তাদের জন্য প্রতিমুহূর্তেই জীবনমৃত্যুর প্রশ্ন। ক্ষমতার পটপরিবর্তনের আগে সাধারণ মানুষ জানতেও পারে না দুর্যোগে কতো মানুষের প্রাণ বলি হয়েছে। কী ভয়ানকভাবে তথ্য গোপন ও বিকৃত করা হয়েছে। ইতিহাসের শিক্ষা এই যে ইতিহাস থেকে কেউ শিক্ষা নেয় না।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়