রাশিদ রিয়াজ : [২] সিএনএন’র সিনিয়র সাংবাদিক ফরিদ জাকারিয়াকে দেয়া এ সাক্ষাতকারে চীনের রাষ্ট্রদূত চুই তিয়ানকাই বলেন আধুনিক, শক্তিশালী, সমৃদ্ধপূর্ণ চীনের সঙ্গে শান্তিপূর্ণ সহবস্থান ওয়াশিংটন চায় কি না তা তাদের ভেবে দেখতে হবে।
[৩] গত সপ্তাহে চীনা কম্যুনিস্টপার্টির নেতাদের যুক্তরাষ্ট্রে নিষিদ্ধ করার কথা উঠলে বেইজিংএর পক্ষ থেকে সাফ বলা হয় যুক্তরাষ্ট্র চীনকে নিপীড়ন ও হুমকির চেষ্টা করছে। রাষ্ট্রদূত চুই বলেন বিশ্ববাস্তবতাকে স্বীকৃতি দিতে হবে, চীন প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংএর নেতৃত্ব এখন আরো আগ্রাসী, সম্প্রসারণবাদী ও দমনকারী শক্তিতে পরিণত হয়েছে।
[৪] চীনের রাষ্ট্রদূত বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের জন্যে মৌলিক বিষয়টি উপলব্ধি করা খুবই সহজ এবং তা হচ্ছে ওয়াশিংটন অন্য রাষ্ট্রকে কি অভিন্ন সংস্কৃতি, অর্থনীতি ও রাজনৈতিক আচরণের মধ্যে দেখতে তৈরি? কারণ শান্তিপূর্ণ অবস্থানে টিকে থাকাই এখন বিশে^র জন্যে এক বড় চ্যালেঞ্জ।
[৫] চুই বলেন হংকং ও চীন এক নীতি ও দুই দেশ এমন ব্যবস্থায় নিরাপত্তা আইনটি বরং আরো বেশি স্থিতিশীলতা এনে দেবে। হংকংএর নাগরিকরা নিরাপদ বোধ করবেন। ব্যবসা করতে স্বাচ্ছ্যন্দ বোধ করবেন।
[৬] উইঘুর মুসলিমদের ওপর নির্যাতনের প্রসঙ্গটি নাকচ করে চুই বলেন এধরনের অভিযোগ বানোয়াট ও অযৌক্তিক। এধরনের খবরের উৎস সম্পর্কে তিনি প্রশ্ন তোলেন।
[৭] দক্ষিণ চীন সাগরের মালিকানা প্রশ্নে চুই বলেন, খুব নিরেট ও আইনগত ভিত্তি এবং ঐতিহাসিক কারণে আমরা আমাদের এ দাবি সমুন্নত রেখেছি এবং এ নিয়ে কোনো দেশের আপত্তি থাকলে আমরা আলোচনায় রাজি আছি। কূটনৈতিক বৈঠকের মধ্যে দিয়ে এর সমাধান হতে পারে। সার্বভৌমত্বের প্রশ্নে আমরা আপোষহীন।