ডেস্ক রিপোর্ট: [২] বিতর্কিত রিজেন্ট হাসপাতালের সঙ্গে করোনার চিকিৎসার জন্য সরকারের চুক্তিনামাসহ অন্যান্য নথিপত্র দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) জমা দিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্ততর।
[৩] সোমবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কর্মকর্তা দিদারুল ইসলাম দুদকের উপপরিচালক ও রিজেন্ট দুর্নীতির অনুসন্ধান কর্মকর্তা আবু বকর সিদ্দিকীর কাছে নথিপত্র জমা দেন।
[৪] এর আগে রোববার দুপুর পৌনে ২টায় আবু বকর সিদ্দিকীর নেতৃত্বে দুদকের চার সদস্যের একটি দল স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে আসেন। এর কিছুক্ষণের মধ্যে তারা স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল কালাম আজাদের কক্ষে প্রবেশ করেন। ঠিক দেড় ঘণ্টা পর বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে তারা কক্ষ থেকে বের হন। বৈঠক চলাকালে বাইরে থেকে কাউকে ভেতরে এবং ভেতরের কাউকে বাইরে যেতে দেয়া হয়নি।
[৫] গত ১৩ জুলাই রিজেন্ট হাসপাতাল ও এর চেয়ারম্যান মো. সাহেদ ওরফে সাহেদ করিমের অবৈধ সম্পদের অনুসন্ধান করার সিদ্ধান্ত নেয় দুদক। কমিশনের বিশেষ তদন্ত অনুবিভাগের মাধ্যমে এ অভিযোগটি অনুসন্ধান করা হবে। যার জন্য তিন সদস্যের একটি দলও গঠন করা হয়। কমিশনের উপ-পরিচালক মো. আবু বকর সিদ্দিকের নেতৃত্বে তিন সদস্যের অনুসন্ধান দলের অন্য সদস্যরা হলেন মো. নেয়ামুল হাসান গাজী ও শেখ মো. গোলাম মাওলা।
[৬] গত ৬ জুলাই নানা অনিয়ম, প্রতারণা, সরকারের সঙ্গে চুক্তি ভঙ্গ, করোনা পরীক্ষার ভুয়া রিপোর্ট ও সার্টিফিকেট দেওয়া এবং রোগীদের কাছ থেকে টাকা নেওয়ার অভিযোগে রিজেন্ট গ্রুপের দু’টি হাসপাতালে অভিযান চালান র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) ভ্রাম্যমাণ আদালত। এ অভিযানের নের্তৃত্ব দেন র্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. সারোয়ার আলম। অভিযানে গিয়ে প্রতারণার সত্যতা মেলে, সেই সঙ্গে পাওয়া যায় গুরতর সব প্রতারণার তথ্য। সূত্র: বাংলানিউজ