লাইজুল ইসলাম : [২] হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের স্বাস্থ্য কেন্দ্রের সহযোগি পরিচালক ডা. শাহরিয়ার সাজ্জাদ বলেন, এটি কিভাবে বন্ধ করবেন আমরা বুঝতে পারছি না। ৭২ ঘন্টার যে সময় নির্ধারণ করা হয়েছে তাতেও সম্ভব না। কেউ যদি নমুনা দিয়ে বাসায় যাওয়ার সময় সংক্রমিত হয়। রিপোর্ট হাতে আসবে নেগেটিভ। তখন সে বিদেশ যাবে। বিদেশের মাটিতে পা দেয়ার পর ধরা পরবে করোনা পজেটিভ। এমন হয়েছে বিদেশগামি প্রবাসীদের।
[৩] হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের পরিচালক গ্রুপ ক্যাপ্টেন এএইচএম তৌহিদ উল আহসান বলেন, একজন যাত্রী যেকোনো সময় কোভিড-১৯ সংক্রমিত হতে পারে। এক্ষেত্রে নিশ্চিত করে বলা সম্ভব না কে কখন সংক্রমিত হচ্ছে। ৭২ ঘণ্টা বা ৯৬ ঘণ্টা যাই বলেন, এমন কোনো পদ্ধতি নেই যেটাতে নিশ্চিত করে বলা যাবে যাত্রীরা করোনা পজেটিভ না।
[৪] কোভিড সংক্রমিত রোগিদের যাওয়া নিয়ে সবচেয়ে বেশি বিতর্ক উঠেছে বাংলাদেশ বিমানের বিষয়ে। এয়ারলাইন্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোকাব্বির হোসেন বলেন, আমরা শুধু সরকারের নির্দেশনা পালন করেছি। যারা নেগেটিভ রেজাল্ট নিয়ে এসেছেন তাদের আমরা নিয়ে গেছি। তাছাড়া, কে কখন সংক্রমিত হয়েছে তা কেউ বলতে পারবে না। নেগেটিভ থাকা কালিন নমুনা টেস্ট হয়েছে। এরপর কোনো ভাবে সংক্রমিত হয়েছেন। এটাতে কিভাবে কি করবেন।
[৫] কোভিড চিকিৎসার সঙ্গে জড়িত চিকিৎসকরা বলেন, কোনো ভাবেই বোঝার উপায় নেই কে কখন সংক্রমিত হচ্ছেন। কারণ এই ভাইরাস বাতাসেও উড়ছে। তাই নমুনা দেয়ার পরও কোভিড সংক্রমিত হতে পারেন। বিদেশ গামি যাত্রীদের অতি শতর্ক হওয়া জরুরী। নমুনা দেয়ার পর থেকে এই সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে।