জবি প্রতিনিধি: [২] বিশ্বব্যাপী বিরাজমান করোনা ভাইরাস সম্পর্কে শিক্ষার্থীদের সচেতন ও তাদের সৃজনশীল প্রতিভা বিকাশের লক্ষ্যে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় সাংস্কৃতিক কেন্দ্র আয়োজিত ভার্চুয়াল সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতা শুরু হয়েছে। এই ভার্চুয়াল প্রোগ্রামের মূল বিষয় করোনা ও সচেতনতা।
[৩] এই ভার্চুয়াল প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারী প্রতিযোগীরা করোনা সংক্রমণের মাধ্যমসহ করোনা ও সচেতনতার সাথে সম্পৃক্ত বিষয়কে উপজীব্য করে বিভিন্ন বিষয় তাদের নিজ ইভেন্টে ফুটিয়ে তুলছেন।পাশাপাশি সৃজনশীল বিষয়ের ভিডিও ধারণ করে হ্যাশট্যাগসহ আপলোড করছেন তাদের নিজ টাইমলাইনে।
[৪] এই ভার্চুয়াল প্রতিযোগিতায় আবৃত্তি, গান,অভিনয়, বক্তৃতা,পোস্টার ও স্থিরচিত্র এই ৫টি ক্যাটাগরি রয়েছে।১জন প্রতিযোগী সর্বোচ্চ ৩টু ক্যাটাগরিতে অংশ নিতে পারবেন।প্রতিযোগিতা শেষে প্রতি ক্যাটাগরিতে সেরা ৩জন করে মোটউ ১৫ জনকে পুরষ্কার দেওয়া হবে।পাশাপাশি মুজিবশতবর্ষকে কেন্দ্র করে অংশগ্রহণকারী সেরা ১০০জন শিক্ষার্থী পাবেন সামাজিক সচেতনতামূলক কার্যক্রমে অংশগ্রহণের সনদপত্র।
[৫]জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় সাংস্কৃতিক কেন্দ্র সূত্রে জানা যায়, ২টি বিষয়কে সমন্বিত করার জন্য এই ভার্চুয়াল ইভেন্ট আয়োজন করা হয়েছে। একটি হলো চলমান মহামারীতে সচেতনামূলক কার্যক্রম, অপরটি এই আয়োজনের মাধ্যমে মুজিবশতবর্ষ উদযাপন।
[৬] জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের সাধারণ সম্পাদক সাঈদ মাহাদী সেকান্দার বলেন, জবি সাংস্কৃতিক কেন্দ্র পরিবার দেশীয় সংস্কৃতি ধারণ পূর্বক যেমন বিভিন্ন অনুষ্ঠান আয়োজন করে থাকে তেমনি সামাজিক দ্বায়বদ্ধতার জায়গা থেকে আমরা বিভিন্ন সময় সামাজিক কাজে অংশগ্রহণ করেছি।চলমান মাহামারীতে একজন শিক্ষার্থী আমাদের যেকোন একটি ইভেন্টে সচেতনামূলক বিষয় তার ফেসবুকে আপলোড করলে তার বন্ধুতালিকার সকলে বিষয়টি দেখবে এবং সচেতন হবে এটি আমাদের উদ্দেশ্য। এছাড়া শিক্ষার্থীদের সৃজনশীলতা বিকাশের সুযোগ রয়েছে।
[৭] আজ (১৬ জুলাই) থেকে শুরু হওয়া এই ভার্চুয়াল প্রতিযোগিতা আগামী ৩০জুলাই পর্যন্ত চলবে।