সিরাজুল ইসলাম : [২] মোহাম্মদ রমজান ও হোসেন মুসার আপিল সোমবার খারিজ করে দিয়েছেন আদালত। হত্যা মামলায় ২০১৪ সালের ডিসেম্বরে অপরাধ আদালত তাদের মৃত্যুদণ্ডাদেশ দেন। রয়টার্স
[৩] ২০১৪ সালের প্রথম দিকে এল দেইর গ্রামে বোমা হামলায় এক পুলিশ কর্মকর্তা নিহত হন। এরপর দেশটির আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে হোটেলকর্মী মুসা ও নিরাপত্তাকর্মী রমজানকে গ্রেপ্তার করে নিরাপত্তা বাহিনী। তাদের ১০ সহযোগীর বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড হয়েছে।
[৪] রমজানের স্ত্রী জয়নব ইব্রাহিম বলেন, সঠিক প্রক্রিয়া ছাড়াই যেকোন মুহুর্তে ফায়ারিং স্কোয়ার্ডে তার স্বামীর মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করার আশঙ্কা করছেন তিনি।
[৫] অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল এবং যুক্তরাজ্যভিত্তিক দ্য বাহরাইন ইনস্টিটিউট ফর রাইটস অ্যান্ড ডেমক্রেসি (বিআইআরডি) বলছে, নির্যাতন করে মিথ্যা স্বীকারোক্তি আদায় করা হয়েছে ওই দুই ব্যক্তির। তাদের ওপর যৌন নির্যাতন, মারধর, ঘুমাতে না দেয়াসহ নানা নির্যাতন করা হয়েছে। মৃত্যুদণ্ড পাওয়ার আগ পর্যন্ত লোক দুইটির সঙ্গে আইনজীবীরা সাক্ষাতের সুযোগ পাননি।
[৬] সরকার বলছে, যথাযথ আইনী প্রক্রিয়ায় তাদের বিচার করা হয়েছে। বিআইআরডির আইন বিভাগের পরিচালক সৈয়দ আহমেদ আলওয়াদেই বলেন, মানবাধিকারের জন্য লড়াই করা বাহরাইনে মৃত্যুদণ্ডের রায় আরেকটি অন্ধকার ঘটনা।
[৭] বাইরাইন শিয়া প্রধান দেশ। একটি সুন্নি পরিবার রাজত্ব করছে। ২০১১ সালে অসন্তোষ শুরু হয়। সৌদি আরবের সহায়তায় তখন বিক্ষোভ দমন করা হয়।