লাইজুল ইসলাম : [২] রোববার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, কোভিড-১৯ রোগীদের জন্য ‘ডেডিকেটেড’ হাসপাতালে ১৪ হাজার ৬৬৮টি শয্যার বিপরীতে ভর্তি রয়েছেন ৪ হাজার ২৫৪ জন, খালি পড়ে আছে ১০ হাজার ৪১টি শয্যা।
[৩] অন্যদিকে ৩৭৪টি আইসিউ শয্যার বিপরীতে ২১০ জন রোগী ভর্তি আছেন, খালি পড়ে আছে ১৬৪টি।
[৪] শনাক্ত রোগীর সংখ্যা যখন প্রায় ২ লাখ ছুঁইছুই, তখন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিসংখ্যান বলছে, সারাদেশে কোভিড হাসপাতালগুলোতে যে শয্যা সংখ্যা রয়েছে, তার ৭০ দশমিক ৯৯ শতাংশই খালি পড়ে থাকছে। এক সময় আইসিইউর জন্য কোভিড-১৯ রোগীদের হাহাকার চললেও এখন সেখানেও শয্যা খালি থাকছে ৪৩ দশমিক ৮৫ শতাংশ।
[৫] হাসপাতালের ওয়ার্ডে প্রতিদিন ৭-৮ জন রোগী মারা যাচ্ছেন। তাদের লাশ সরানোর জন্য পর্যন্ত কেউ থাকছে না। এমন অবস্থায় রোগিরা বাসাতেই চিকিৎসা শুরু করেছেন।
[৬] সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান আইইডিসিআরের সাবেক বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ডা. মুশতাক হোসেন বলেন, রোগীদের অনাস্থার জন্য হাসপাতালের ব্যবস্থাপনাও দায়ী। পরিকল্পিত ভাবে অনেক কিছুই হয়নি। চিকিৎসা নিয়েও আছে দ্বিমত। জটিল রোগীরাই তো হাসপাতালে যান। তারা সেখানে গিয়ে ঠিকমত চিকিৎসা পান না। স্বাস্থ্যকর্মীরা তার পাশে যান না। এমন পরিস্থিতি তৈরি করা হয়েছে।
[৭] ডা. মুশতাক বলেন, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর এখন নিয়মিতভাবে হাসপাতালগুলোকে শয্যা খালি থাকার পরিসংখ্যান তুলে ধরায় স্বাস্থ্য খাতে ‘স্বচ্ছতা এসেছে’ । এখন সঠিক ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে রোগীদের চিকিৎসা দিতে পারলে, কমপ্লিকেটেড রোগীরা হাসপাতালে আসতে ভরসা পাবেন।
আপনার মতামত লিখুন :