লাইজুল ইসলাম : [২] শনিবার (১১ জুলাই) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক (সমন্বয়) ডা. মো. জাহাঙ্গীর কবির স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, রিজেন্ট হাসপাতাল ও জোবেদা খাতুন হেলথ কেয়ারের (জেকেজি) প্রতারণার বিষয়ে ব্যাখ্যা দিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
[৩] এতে বলা হয়, সম্প্রতি রিজেন্ট হাসপাতালের প্রতারণার বিষয়ে কিছু আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। প্রতিষ্ঠানটির স্বত্বাধিকারী মো. শাহেদ করিমের বিভিন্ন প্রতারণার খবরও বেরিয়ে আসছে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর তার বিষয়ে আগে অবহিত ছিল না। এ বছরের মার্চ মাসে আকস্মিকভাবে দেশে কোভিড-১৯ রোগীর সংখ্যা বেড়ে যায়।
[৪] ক্রান্তিকালে রিজেন্ট হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ঢাকার উত্তরা এবং মীরপুরে অবস্থিত ঐ নামের দু'টি ক্লিনিককে কোভিড হাসপাতাল হিসেবে ডেডিকেটেড করার আগ্রহ প্রকাশ করে। মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে অধিদপ্তরের হাসপাতাল বিভাগ সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করে।
[৫] বেসরকারি পর্যায়ে কোভিড রোগীদের চিকিৎসার সুবিধার জন্য লাইসেন্স না থাকা সত্যেও রিজেন্ট হাসপাতালের সাথে ২১ মার্চ ২০২০ তারিখে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করা হয়। এর আগে শাহেদকে অধিদপ্তরের মহাপরিচালক চিনতেন না।
[৬] জাবেদা খাতুন হেলথ কেয়ার (জেকেজি) নামে অপর একটি প্রতিষ্ঠানের প্রতারণার বিষয়েও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অবস্থানের বিষয়ে বলা হয়, ওভাল গ্রুপের আরিফুল চৌধুরী স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে আসেন এবং জানান যে, তিনি জোবেদা খাতুন হেলথ কেয়ার (জেকেজি) নামে একটি স্বেচ্ছাসেবী প্রতিষ্ঠানের প্রধান সমন্বয়ক। জেকেজি গ্রুপ দক্ষিণ কোরিয়ার মডেলে বাংলাদেশে কিছু বুথ স্থাপন করতে চায়।
[৭] দ্রুত কোভিড স্বাস্থ্য সেবা সম্প্রসারণের মূল লক্ষ্য ও সদিচ্ছা নিয়ে জেকেজিকে অনুমতি দেয়া হয়েছিল। প্রতিষ্ঠানটি প্রতারণা করতে পারে এমন ধারণা আদৌ ছিল না।
[৮] প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ইদানিং কোন কোন স্বার্থান্বেষী মহল কল্পিত ও মিথ্যা তথ্য দিয়ে গণমাধ্যমকে বিভ্রান্ত করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সুনাম নষ্ট করার প্রয়াস চালাচ্ছেন।