শিমুল মাহমুদ : [২] প্রকাশকদের বইয়ের কাজ মূলত বইমেলাকে কেন্দ্র করে আবর্তিত হয়। বিনিয়োগের কিছু অংশ মেলা থেকে উঠে আসলেও মূল অংশ আসে বছরব্যাপী ঢাকা এবং ঢাকার বাইরে বিক্রি থেকে। তাই মার্চ থেকে এপ্রিল মাসে ঢাকার বাহিরে বই পাঠানোর প্রক্রিয়ায় ব্যস্ত থাকেন প্রকাশকরা। এবার সে সময়টা নষ্ট হয়েছে কোভিড প্রভাবে ।
[৩] বাংলাদেশ জ্ঞান ও সৃজনশীল প্রকাশক সমিতির সভাপতি ফরিদ আহমেদ বলেন, এ শিল্পের সাথে জড়িত ৫০ হাজারের বেশি মানুষ এখন মানবেতর জীবনযাপন করছেন। করোনায় প্রকাশনা খাতে ক্ষতির পরিমাণ দাঁড়িয়েছে প্রায় ৪০০ কোটি টাকায়। ফলে অনেক প্রকাশকদের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখা কঠিন।
[৪] প্রথমা প্রকাশন ব্যবস্থাপক জাফর আহমদ রাশেদ বলেন, সারাবছর বইয়ের কাজ হয় না। মেলার পরে প্রেস ও বাঁধাইখানায় লোক কমিয়ে দেওয়া হয়।
[৬] বাতিঘরের স্বত্বাধিকারী দীপংকর দাস বলেন, অনলাইনে বই বিক্রি কিছুটা হলেও বুক ক্যাফেতে কিন্তু খুব বেশি মানুষ আসছেন না।
[৭] রকমারি’র হেড অব কমিউনিকেশন অ্যান্ড ইনবাউন্ড মার্কেটিং মাহমুদুল হাসান সাদি বলেন, মে থেকে ভর্তি ও নিয়োগ পরীক্ষার সহায়ক বইগুলো ভালো বিক্রি হচ্ছে। যেহেতু অনেকেই গত বইমেলার বই সংগ্রহ করতে পারেননি, তারাই মূলত বই কিনছেন।
[৮] প্রকাশক সমিতির সভাপতি বলেন, প্রকাশকদের আসলে অনলাইন ব্যবসা নেই। দেশের কিছু অনলাইন প্রতিষ্ঠান আছে যারা প্রকাশকদের কাছ থেকে বই নিয়ে বিক্রি করে থাকে। সম্পাদনা : রায়হান রাজীব
আপনার মতামত লিখুন :