লিহান লিমা: [২] ইউনেস্কোর প্রধান অড্রি আজুলে বলেছেন, এটি খুব দুঃখজনক যে জাতিসংঘের সংস্কৃতি পরিষদের সঙ্গে কোনো আলোচনা না করেই এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। আমাদের পরবর্তী বৈঠকে আয়া সোফিয়ার মর্যাদা নিয়ে পর্যালোচনা করা হবে। আল জাজিরা
[৪] তুরস্কের সিদ্ধান্তকে ‘দুঃখজনক’ বলেছে ইউরোপিয় ইউনিয়ন।
[৫] যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয় বলেছে, ‘এই সিদ্ধান্তে আমরা হতাশ।’ ইউএস কমিশন অন ইন্টারন্যাশনাল রিলিজিয়াস ফ্রিডম বলছে, ‘ঐতিহাসিক এই সৌধটিকে নিয়ে দ্ব্যর্থহীন রাজনীতি করা হল।’
[৬] গ্রিসের সংস্কৃতিমন্ত্রী লিনা মেনদনি বলেছেন, ‘এটি সভ্য সমাজকে দেয়া স্পষ্ট উস্কানিমূলক পদক্ষেপ।’
[৭] রাশিয়ার পররাষ্ট্র বিষয়ক কমিটি বলেছে, ‘আয়া সোফিয়াকে মসজিদে রূপান্তর মুসলিম বিশ্বের জন্য কিছুই বয়ে আনবে না। এটি তাদের একত্র করবে না বরঞ্চ বিভেদ সৃষ্টি করবে।’
[৮] ৫৩৭ খ্রিস্টাব্দে, বাইজান্টাইন সম্রাট জাস্টিনিয়ান ইস্তাম্বুলের গোল্ডেন হর্নে বিশাল গম্বুজের এক গির্জা তৈরি করেন। ১৪৫৩ সালে অটোমানদের বিজয়ের পরে ওসমানীয় শাসকরা এটিকে মসজিদে রূপান্তর করে চারপাশে চারটি মিনার তৈরি করেন। ১৯৩৪ সালে তুরস্কে ধর্মনিরপেক্ষতা চালু করার প্রক্রিয়ায় আধুনিক তুরস্কের রূপকার কামাল আতাতুর্কের মসজিদটিকে জাদুঘরে রুপান্তর করেন। গত শুক্রবারের রায়ের পর এরদোগান পুনরায় এটিকে নামাজের জন্য উন্মুক্ত করলেন। সম্পাদনা: ইকবাল খান