সৌরভ ঘোষ: [২] কুড়িগ্রামে অস্বাভাবিকভাবে ব্রহ্মপুত্র, ধরলা, তিস্তা, দুধকুমারসহ ১৬টি নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। ধরলা ও তিস্তার পানি বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। দ্রুত গতিতে বাড়ছে ব্রহ্মপুত্রসহ অন্যান্য নদ-নদীর পানিও।
[৩] এ অবস্থায় আবহাওয়া দপ্তরের তথ্য অনুযায়ী জেলার বড় ধরনের বন্যার আশংকা করছে পানি উন্নয়ন বোর্ড ও জেলা প্রশাসন। বন্যা পরিস্থিতি মোকাবেলায় চলছে জরুরী সভাও। প্রথম দফা বন্যার রেশ কাটতে না কাটতেই দ্বিতীয় দফা বন্যার কবলে পড়ায় দু:চিন্তায় পড়েছেন চরাঞ্চলসহ নদ-নদীর অববাহিকায় বসবাসকারী মানুষ জন।
[৪] কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আরিফুল ইসলাম জানান, শনিবার বিকেল ৩ টায় পাওয়া তথ্য অনুযায়ী ধরলার পানি সেতু পয়েন্টে বিপদসীমার ৭ সেন্টিমিটার ও তিস্তা নদীর পানি কাউনিয়া পয়েন্টে বিপদসীমার ২ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
[৫] এ ছাড়াও ব্রহ্মপুত্রের পানি চিলমারী পয়েন্টে বিপদসীমার ৮ সেন্টিমিটার ও নুনখাওয়া পয়েন্টে বিপদসীমার ১৪ সেন্টিমিটার নীচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ধরলার পানি অস্বাভাবিক হারে বৃদ্ধি পাওয়ায় রাজারহাট উপজেলার ছিনাই ইউনিয়নের কালুয়া এলাকার বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ ভাঙ্গনের হুমকীতে পড়েছে বলেও জানান তিনি। ধরলা ও তিস্তা নদীর অববাহিকায় বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হবে বলেও জানান তিনি।
[৬] কুড়িগ্রামের জেলা প্রশাসক মো. রেজাউল করিম জানান, কুড়িগ্রামের বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে জরুরী সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সভায় বন ও পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের সচিব জিয়াউল হাসান স্যার উপস্থিত ছিলেন। ইতিমধ্যে আমরা বন্যা পরিস্থিতি মোকাবেলায় সকল প্রস্ততি সম্পন্ন করেছি। আমরা জরুরী সভায় জেলা ও সকল উপজেলার কর্মকর্তাদের নির্দেশ দিয়ে প্রস্তত করে রেখেছি। বন্যায় যখন যা প্রয়োজনীয়তা দেখা দিবে তাই করা হবে। সম্পাদনা: সাদেক আলী