রাশিদ রিয়াজ : [২] কুয়েতে এমপি মোহাম্মদ শহিদুল ইসলামকে গত জুনে আটকের পর দেশটির সরকার মনে করছে মানবপাচারের সঙ্গে বাংলাদেশি দূতাবাস জড়িত থাকতে পারে। মিডিল ইস্ট মনিটর এ খবর দিয়ে বলেছে এটি কোনো সাধারণ অপরাধের ঘটনা নয় বা কোনো একজন এমপি এর সঙ্গে শুধু জড়িত নয় বরং এধরনের মানবপাচারের সঙ্গে অপরাধী আন্ডাওয়ার্ল্ড যেমন জড়িত তেমনি বাংলাদেশি রাষ্ট্রদূত এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত।
[৩] এ বিষয়ে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী একে আব্দুল মোমেন কুয়েতে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত এসএম আবুল কালামকে তার সংশ্লিষ্টতা থাকার ব্যাপারে সতর্ক করেছিলেন। এরই প্রেক্ষিতে পরবর্তীতে এমপি পাপলুকে আটক করে কুয়েত কর্তৃপক্ষ।
[৪] এর আগে পররাষ্ট্রমন্ত্রী একে আব্দুল মোমেন হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন কুয়েত এসএম আবুল কালামের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনলে বাংলাদেশ তার রাষ্ট্রদূতকে রেহাই দেবে না। অর্থপাচার ও মানবপাচারের বিরুদ্ধে সরকার জিরো টলারেন্স বজায় রেখেছেন। পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরো বলেন পাচারকারিরা যে দলেরই হোক না কেনো তাকে শাস্তি পেতে হবে।
[৫] তবে কুয়েতে রাষ্ট্রদূত হিসেবে কালামের মেয়াদ শেষ পর্যায়ে এবং তিনি এ মাসেই দেশে ফিরতে পারেন। বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী কুয়েতে নতুন রাষ্ট্রদূত নিয়োগ চূড়ান্ত করার কথা জানিয়েছেন।
[৬] গত ৬ জুন কুয়েতে গ্রেফতার করা হয় এমপি শহিদুল ইসলামকে। তার বিরুদ্ধে মানব ও অর্থপাচারের অভিযোগ আনা হয়েছে। কুয়েতের সরকারি কর্মকর্তাদের ৫টি বিলাসবহুল গাড়ি দেয়ারও অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে।