কোটালীপাড়া প্রতিনিধি : [২] গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ায় পারিবারিক কলহের জেরে দুই দিনে চার জনের আত্মহত্যার ঘটনা ঘটেছে।
[৩] বৃহস্পতিবার (১০ জুলাই) উপজেলার কলাবাড়ী গ্রামে গলায় ফাঁস দিয়ে তিথী সরকার (১৮) ও শুয়াগ্রামে অর্চনা রানী বাড়ৈ (২৭) আত্মহত্যা করেন। শুক্রবার (১১ জুলাই) উপজেলার পীড়ারবাড়ী গ্রামের সুমা হালদার (১৯) বিষপানে ও তেতুলবাড়ী গ্রামের রেহেনা খানম (১৩) গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন।
[৪] তিথী সরকার উপজেলার ডহরপাড়া গ্রামের বিপুল বালার স্ত্রী ও অর্চনা রানী বাড়ৈ শুয়াগ্রামের উজ্জল বাড়ৈর স্ত্রী। অপরদিকে, সুমা হালদার লখন্ডা গ্রামের সজ্ঞিত মজুমদারের স্ত্রী ও রেহেনা খানম তেতুলবাড়ী গ্রামের রশিদ হাওলাদারের মেয়ে।
[৫] বাবার বাড়ি থেকে স্বামীর বাড়ি যাওয়া নিয়ে তিথীর মা পুষ্প সরকারের সাথে তিথীর কথা কাটাকাটি হয়। এ ঘটনার পর তিথী অভিমান করে বাবার বাড়িতে ঘরের আড়ার সঙ্গে ওড়না পেঁচিয়ে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন।
এদিকে, উপজেলার শুয়াগ্রামের অর্চনা বাড়ৈ শাশুড়ির সাথে ঝগড়া করে বিদ্যুতের খুঁটির সঙ্গে দড়ি দিয়ে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেন।
অন্যদিকে, বিয়ের কিছুদিন পরে সুমা হালদারের শাসকষ্টজনিত সমস্যা দেখা দিলে সুমার স্বামী তাকে বাবার বাড়িতে রেখে যান। এরপর সঞ্জিত মজুমদার আর তার স্ত্রীর সাথে যোগাযোগ করেননি। এ ঘটনায় অভিমান করে শুক্রবার দুপুরে সুমা বিষপানে আত্মহত্যা করেন।
অপরদিকে, বই পড়ার জন্য রেহেনা খানমকে তার মা বকাঝকা করলে অভিমানে ঘরের আড়ার সাথে ওড়না পেঁচিয়ে গলায় ফাঁস দিয়ে তিনি আত্মহত্যা করেন।
[৬] কোটালীপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শেখ লুৎফর রহমান ঘটনা চারটির সত্যতা স্বীকার করে বলেন, প্রাথমিকভাবে ঘটনাগুলো আত্মহত্যা বলে মনে হয়। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য গোপালগঞ্জ মর্গে পাঠানো হয়েছে। সম্পাদনা : হ্যাপি