সাইদুর রহমান: সরকারের সব গুরুত্বপূর্ণ দফতর, প্রশাসনের বড়কর্তা, মিডিয়া সর্বত্রই তার সরব উপস্থিতি। ২০১৪ সালের পর থেকে লাইসেন্স এবং ন্যূনতম অবকাঠামো না থাকার পরও মো. সাহেদের নেতৃত্বাধীন রিজেন্ট হাসপাতালের সাথে সরকার চুক্তি করলো। কোটি কোটি টাকার বরাদ্দও মিললো। বোঝেন ক্ষমতা কাকে বলে? ক্ষমতা আছে বলেই তো ভুয়া করোনার সার্টিফিকেট দিয়ে মানুষের থেকে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। দেশের বিভিন্ন সেক্টরের নীতি নির্ধারক যারা ঠিক তাদের সাথেই এই ‘কথিত টকশো ব্যক্তিত্বের’ ঘনিষ্ঠভাবে ছবি আছে। তাদের আশ্রয় প্রশ্রয় নিজেকে ক্ষমতাশালী করেছেন তিনি।
টেলিভিশনের টকশোতে ওনাকে প্রায়ই দেখা যায়। টকশোতে অতিথি হবার জন্য তদবিরও করতেন নাকি তিনি। রাজনীতি বিশ্লেষক বানিয়ে কারা তাকে নিয়মিত টকশোতে আনতেন? কেন আনতেন? খতিয়ে দেখা খুবই জরুরি।
টকশোগুলোতে সাহেদ জাতিকে জ্ঞান দেন, বিরোধী দলের তুমুল সমালোচনা করেন, সরকারের প্রশংসা করেন। তখন বাহবা আসতো সরকার সমর্থকদের কাছ থেকে। ধরা পড়ার পর এই হাইব্রিড কীভাবে এতো ক্ষমতাধর হলো সেটি নিয়ে দেখছি সর্বত্র আলোচনা। এতোদিন কি তাহলে ভয় পেয়েছিলেন? খোঁজ নিন হাজার সাহেদের কলো থাবায় মানুষ অতিষ্ঠ। সোনার বাংলার মানচিত্র কুরে খাচ্ছে এরা। অতএব ‘ধরা পড়লে হয় হাইব্রিড আর টিকে থাকলে ত্যাগী’-এই মানসিকতা থেকে বেরিয়ে অপরাধীকে অপরাধী হিসেবে চিহ্নিত করুন। অপরাধীর সর্বোচ্চ শাস্তির মাধ্যমে অপরাধ দমন করুন। ফেসবুক থেকে
আপনার মতামত লিখুন :