আনিস তপন: [২] বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের নিজ দপ্তরে কোরবানির পশুর হাটে সুস্থ-সবল গবাদিপশু সরবরাহ ও বিক্রয় নিশ্চিতকরণ সংক্রান্ত এক অনলাইন সভায় সভাপতির বক্তব্যে এ কথা বলেন, মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম।
[৩] প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী বলেন, পশুর হাটে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার জন্য সংশ্লিষ্ট সকলকে সতর্ক থাকতে হবে, সচেতন হতে হবে, নিজের দায়িত্ববোধ ও নৈতিকতা দিয়ে কাজ করতে হবে। এ ব্যাপারে প্রাণিসম্পদ উৎপাদন ও সরবরাহে সংশ্লিষ্টদের যথাযথ দায়িত্ব পালন করতে হবে।
[৪] মন্ত্রী আরো বলেন, প্রতিবছরই কিছু খারাপ অভিজ্ঞতা হয়। কোরবানির পশু পরিবহণে রাস্তায় চাঁদাবাজি হয়, দীর্ঘসময় প্রাণীকে ট্রাকে আটকে রাখতে হয়। এবার কোনরকম চাঁদাবাজি হবে না আশা করছি। তাছাড়া যেখানে সুযোগ আছে সেখান থেকে ট্রেনে পশু পরিহণ করা হবে। খামার থেকে পশু বিক্রয় হলে সেখান থেকে ইজারাদার টোল আদায় করতে পারবে না বলেও এসময় জানান তিনি।
[৫] প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী এ বছর ১ কোটি ১৮ লক্ষ ৯৭ হাজার ৫০০টি গবাদিপশু কোরবানির জন্য মজুদ রয়েছে উল্লেখ করে শ ম রেজাউল করিম বলেন, যার মধ্যে হৃষ্টপুষ্টকৃত গরু-মহিষের সংখ্যা ৪৫ লক্ষ ৩৮ হাজার এবং ছাগল-ভেড়ার সংখ্যা ৭৩ লক্ষ ৫৫ হাজার ও অন্যান্য ৪ হাজার ৫০০টি। কোরবানির জন্য কোন অবস্থাতেই বিদেশ থেকে গবাদিপশু আনার অনুমতি দেয়া হবে না। করোনার কারণে গবাদিপশু বিপণনে এবছর আমরা অনলাইন বাজারের উপর জোর দেয়ার চেষ্টা করছি।
[৬] তিনি আরো বলেন, ‘গবাদিপশু বিপণন ও পরিবহণ সমস্যা সমাধানে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরে হটলাইন স্থাপন করা হবে। মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র কর্মকর্তারা সার্বক্ষণিক হটলানে সম্পৃক্ত হবেন। গবাদিপশুর বাজারগুলোতে প্রায় ১২০০ মেডিকেল টিম কাজ করবে, যাতে রুগ্ন গবাদিপশু বাজারে না আসতে পারে। একইসাথে মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে মনিটরিং টিম গঠন করা হবে।
[৭] কোরবানির সময়ে খামারিসহ সংশ্লিষ্ট সকলকে সহায়তা করার জন্য মাঠ পর্যায়ের সকল প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তাদের এসময় নির্দেশনা দিয়য়ে মন্ত্রী বলেন, কোনভাবেই যেনো একজন খামারি, বিক্রেতা বা সংশ্লিষ্ট অন্য কেউ ক্ষতিগ্রস্ত না হয় সে ব্যাপারে কর্মকর্তাদের সতর্ক করেন মন্ত্রী।
আপনার মতামত লিখুন :