ইসমাঈল ইমু : [২] বুড়িগঙ্গায় মর্নিং বার্ড লঞ্চডুবির ঘটনায় ময়ূর-২ লঞ্চের মালিক মোসাদ্দেক সোয়াদকে গ্রেপ্তার করেছে নৌ পুলিশ। বুধবার রাত ৩টার দিকে রাজধানী থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। এর আগে ময়ূর-২ লঞ্চের সুপারভাইজার আবদুস সালামকে গ্রেপ্তার করে নৌ পুলিশ।
[৩] গত ২৯ জুন লঞ্চ দুর্ঘটনায় দুর্ঘটনা কবলিত এমএল মর্নিং বার্ড নামে ওই যাত্রীবাহী লঞ্চ মুন্সীগঞ্জের কাঠপট্টি থেকে সদরঘাটের দিকে আসছিলো। শ্যামবাজারের কাছে বুড়িগঙ্গায় ময়ূর-২ নামে আরেকটি বড় লঞ্চের ধাক্কায় সেটি ডুবে যায়। দুর্ঘটনায় ৩৪ জন জনের মৃত্যু হয়।
[৪] ঘটনার দিন রাতেই নৌ পুলিশ সদরঘাট থানার উপপরিদর্শক মোহাম্মদ শামসুল আলম বাদি হয়ে লঞ্চডুবির ঘটনায় অবহেলাজনিত হত্যার অভিযোগ এনে সাতজনের বিরুদ্ধে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানায় একটি মামলা করেন। মামলার আসামিরা হলেন এমভি ময়ূর-২-এর মালিক মোসাদ্দেক হানিফ সোয়াদ, লঞ্চের মাস্টার আবুল বাশার মোল্লা ও জাকির হোসেন, চালক শিপন হাওলাদার ও শাকিল হোসেন, সুকানি নাসির মৃধা ও মো. হৃদয়। লঞ্চডুবির এ ঘটনা তদন্ত করে সাত দিনের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিলের সময় দিয়ে ওই দিন নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় সাত সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করে।
[৫] এরপর গত মঙ্গলবার দুপুর ১টায় সচিবালয়ে এ তদন্ত প্রতিবেদন সাংবাদিকদের সামনে তুলে ধরেন নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সচিব মেজবাহ উদ্দীন। প্রতিবেদনে বলা হয়, ময়ূর-২ লঞ্চটি ‘মর্নিং বার্ড’ লঞ্চকে পেছন থেকে ধাক্কা দিয়েছে। তাই ‘মর্নিং বার্ড’ লঞ্চডুবির জন্য দায়ী চাঁদপুর থেকে ছেড়ে আসা ‘ময়ূর-২’ লঞ্চ।
আপনার মতামত লিখুন :