রাজু চৌধুরী : [২] চট্টগ্রাম নগরীর বায়েজিদ বোস্তামী এলাকায় ১৬ বছরের এক তরুণীকে ধর্ষণের ঘটনায় থানায় দায়ের করা মামলা তুলে নিতে বাদিকে বিভিন্ন ধরনের ভয়ভীতি প্রদর্শন এবং প্রাণনাশের হুমকির অভিযোগ উঠেছে।
[৩] মঙ্গলবার (৭ জুন) চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে এ অভিযোগ করেন সার্ক মানবাধিকার ফাউন্ডেশন নামের একটি সংগঠন।
[৪] সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনটির চট্টগ্রাম বিভাগীয় প্রধান এস এম আজিজ লিখিত বক্তব্যে বলেন, গত ২৮ শে জুন স্থানীয় গণমাধ্যমে প্রকাশিত 'গার্মেন্টস কর্মীকে ধর্ষণের অভিযোগে গ্রেফতার ২' শীর্ষক খবরের ভিত্তিতে মানবাধিকার সংগঠনের এক প্রতিনিধিদল গত বুধবার (১ জুলাই) বায়েজিদ এলাকায় ধর্ষিতার বাড়িতে যান এবং গিয়ে ধর্ষিতা মেয়েটির বক্তব্য লিপিবদ্ধ করেন।
[৫] সেখানে তরুণী তাদের জানায়, সে গত ২৭ জুন রাতে তার খালার বাসা থেকে নিজ বাসায় ফিরছিলেন। পথিমধ্যে আনোয়ার এবং হেলাল জোরপূর্বক তাকে ধরে পাশের পাহাড়ের দিকে নিয়ে মুখ বেঁধে দুজনে মিলে ধর্ষণ করে। পরবর্তীতে এ ঘটনা কাউকে না জানাতে ধাঁরালো অস্ত্র দেখিয়ে তাকে হত্যার ভয় দেখায়। পরে কিশোরীর চিৎকার শোনে স্থানীয় এলাকাবাসী জরুরী সেবা ৯৯৯ নম্বরে কল দিলে বায়েজিদ থানার একটি টিম গিয়ে মেয়েটিকে উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে। তিনি লিখিত বক্তব্যে আরো বলেন, মামলার বাদী ধর্ষিতা কিশোরীর মা পাখি বেগম মানবাধিকার সংগঠনকে জানান, অভিযুক্তদের আশ্রয়-প্রশ্রয় দাতা আব্দুল নবী লেদু ,শফিকুল ইসলাম শফি,গোলাম রসূল সাদ্দাম, ফাহিম তানভীর আহমেদ, হাবিবুর রহমান দুলাল,আলাল মামলার পরবর্তীতে প্রাথমিক পর্যায়ে টাকা দিয়ে ঘটনাটি মীমাংসার চেষ্টা করেন। তারা এতে ব্যর্থ হয়ে তাকে মেরে ফেলাসহ বিভিন্ন মাধ্যমে হুমকি-ধমকি দিয়ে আসছেন। বর্তমানে বাদি ও ভিকটিম প্রাণনাশের ভয়ে এক আত্বীয়ের বাসায় আত্বগোপনে আছেন। মামলা করার সময় উপরে উল্লেখিত ব্যক্তিসহ তাদের সাঙ্গপাঙ্গরা থানায় মামলা না করার জন্য হুমকি-ধমকি প্রদর্শন করেন। এসএম আজিজ বলেন, এ রকম একটি হীন ন্যাক্কারজনক ধর্ষণ ঘটনার পরও আসামিপক্ষের আশ্রয়-প্রশ্রয় দাতাদের এই রকম আস্ফালন এবং বাদি ও ভিকটিমের নিরাপত্তাহীনতা মানবাধিকারের চরম লঙ্ঘন এবং আইনের শাসনের প্রতি সু-স্পষ্ট বৃদ্ধাআঙ্গুলী প্রদর্শন। তাই ধর্ষক ও ধর্ষকদের আশ্রয় প্রশ্রয়দাতাদের শাস্তির দাবি জানাচ্ছি। সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন, আসক চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিটির জেনারেল প্রেসিডেন্ট এমদাদুল করিম, ফুটন্ত কিশোর সংগঠনের সভাপতি সাদ্দাম হোসেন, মো. বাবলু।