শাহ আলম, গোয়াইনঘাট প্রতিনিধি : [২] সিলেটের গোয়াইনঘাট উপজেলার প্রকৃতিকন্যা জাফলং। সারা বছরই পর্যটকদের আনাগোনা লেগেই থাকে। বর্ষাকালে মেঘালয়ের পাহাড় ঘেষা মায়াবী ঝর্ণা, পিয়াইন এবং ডাউকি নদে পানিতে টইটুম্বুর হয়ে যায়। প্রকৃতিকন্যা জাফলংয়ের সৌন্দর্য উপভোগ করতে বর্ষায় পর্যটকরা ভিড় করেন এখানে।
[৩] ছোট-বড় নৌকা নিয়ে জাফলংয়ে জিরোপয়েন্ট, মায়াবী ঝর্ণা, চা বাগানে পর্যটকরা ঘুরে বেড়ান। বেড়াতে আসা পর্যটকদের গাইড আর চলার বাহন নৌকা চালিয়ে জীবিকা চালান কয়েক’শ লোক। বর্ষা মৌসুমে পর্যটনকে ঘিরে এসময় জেগে উঠে জাফলংয়ের অর্থনীতি।
[৪] জাফলংয়ের বিভিন্ন বিপনী বিতান, ট্যুরিষ্ট গাইড, ফটোগ্রাফারসহ কর্মসংস্থান হয় উপজেলার কয়েক-হাজার মানুষের। তবে এবার কোভিড-১৯ কারণে সবকিছুই যেন থমকে গেছে। স্থানীয়রা পর্যটকদের জন্য আকর্ষণীয় করে নৌকা তৈরি করলেও পরিবেশ-পরিস্থিতি বিবেচনায় এবারের মৌসুমে পর্যটক শূন্য থাকবে প্রকৃতিকন্যা জাফলং। এরআগেও পবিত্র ঈদুল ফিতরেও কোভিড-১৯ এর কারণে বন্ধ ছিলো এই পর্যটন কেন্দ্রটি।
[৫] পর্যটকদের অপেক্ষায় থাকা এসব নৌকা চালকরা বর্ষা মৌসুমে ভালো আয় হয়। যা দিয়ে পরিবারের ভরণপোষণ চালিয়ে যেতে বেগ পেতে হয় না। বিকল্প এই কর্মসংস্থানে স্বস্থি ফিরেছিলো। কিন্তু এবার পরিস্থিতি ভিন্ন। করোনাভাইরাসের দুর্যোগের সময় দেশের অন্যান্য পর্যটনকেন্দ্রের পাশাপাশি জাফলংয়েও পর্যটকদের আগমনে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়। যার ফলে বর্ষা মৌসুমে পর্যটক-শূন্য।
[৬] নৌকা মালিক মো. ফজলু রহমান বলেন, অনেক টাকা খরচ করে পর্যটকদের জন্য ৪টি নৌকা তৈরি করেছিলাম। করোনা পরিস্থিতির কারণে পর্যটকদের আগমন নিষেধাজ্ঞা দেয়ায় এখন নৌকা চলাচল বন্ধ রয়েছে। বর্ষায় মৌসুম আয় রোজগারের একমাত্র উৎস এটি। কিন্তু পর্যটকের আগমন নিষেধাজ্ঞার কারণে এখন হাত পা গুটিয়ে বসে থাকা ছাড়া কিছু করার উপায় নেই।
[৭] জাফলং ট্যুরিষ্ট গাইড ও পর্যটন নৌকা চালক যুব সংঘের সভাপতি বাছির মিয়া বলেন, বর্ষায় জাফলংয়ে পর্যটকদের আনাগোনাকে কেন্দ্র করে প্রায় শতাধিক নৌকা রুজিরোজগারের সন্ধানে বের হয়। কিন্তু এবার করোনা পরিস্থিতিতে পর্যটকদের আনাগোনা নিষিদ্ধ হওয়ায় কর্মহীন হয়ে পড়েছে এসব নৌ-যান পেশায় জড়িত লোকজন। সম্পদনা : হ্যাপি
আপনার মতামত লিখুন :