আশরাফ আহমেদ : [২] কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের 'ফুল বালার' মতো ছেয়ে গেছে কিশোরগঞ্জের হোসেনপুর পৌরসভার নতুন বাজার মোড় থেকে হাসপাতাল মোড় পর্যন্ত ১ কি:মি: ব্যস্ততম দই লেন সড়ক। এ সড়কের মধ্য দিয়ে হরেক রকমের বাহারি ফুলের চারা রোপন করে অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করলেন পৌর মেয়র মোঃ আব্দুল কাইয়ুম খোকন।
[৩] এ সড়কের শোভাবর্ধনে মেয়র স্ব উদ্যোগে রোপণ করেছিলেন ফুলের চারা। এখন ফুলের চারা গুলো পরিপক্ক হয়ে ফুলে ফুলে ছেয়ে গেছে গাছ। বর্ষাকে স্বাগত জানিয়ে লাল, নীল, হলুদ ,বেগুনি সাদা ফুলের ব্যস্ততম এই সড়কটি বর্ণিল সাজে সেজেছে।
[৪] পৌরসভার ব্যস্ততম রাস্তাটি রাতের বেলায় ল্যাম্পপোস্টের সোডিয়াম লাইটের আলোতে অন্য লেনে না যায় , দুর্ঘটনা এড়াতে সেইজন্য সড়ক বিভাজকের ওপর রোপন করা হয়েছে ৩০ প্রজাতির প্রায় ৫০০০ উদ্ভিদ। এদের মধ্যে রয়েছে নীল কাঞ্চন, কামিনী, কৃষ্ণচূড়া, পলাশ, কনকচাঁপা, সূর্যমুখী, বেলি, দূর্বাসহ বিভিন্ন প্রজাতির গাছ।
[৫] গাছে গাছে নানান জাতের প্রজাপতির ডানা মেলে উড়া আর মৌমাছির গুঞ্জনে মুখরিত হয়ে উঠেছে সড়ক। এ সড়ক দিয়ে প্রতিনিয়ত স্কুল-কলেজ-মাদ্রাসাগামী হাজারো শিক্ষার্থী, পথচারী ও যাত্রীবাহী বাস দূরদূরান্তে ফুলের সমারোহে মনমুগ্ধকর পরিবেশে যাতায়াত করে। নগরের কর্মব্যস্ত জীবনে একটু স্বস্তি ফিরিয়ে দিচ্ছে অগণিত ফুলের সৌরভ।
[৬] পৌর মেয়র আব্দুল কাইয়ুম খোকন জানান, পৌর সড়কে সৌন্দর্যবর্ধনে ও আনন্দময় পরিবেশে ভ্রমণের জন্য ফুলের চারা রোপণ করেছি। কিশোরগঞ্জ জেলায় কোনো পৌরসভার সড়কে ফুলের চারা রোপন করা হয়নি। এখন ফুলের সৌন্দর্য পৌরবাসী খুব উপভোগ করছে। তবে পৌরসভাকে আধুনিক উন্নত ও সৌন্দর্যমন্ডিত পৌরসভা হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছেন বলেও জানান তিনি। সম্পাদনা : হ্যাপি