সুজন কৈরী : [২] রাজধানীর মুগদা হাসপাতালে রোগীর সন্তান ও দুটি জাতীয় দৈনিকের ফটো সাংবাদিককে মারধরের ঘটনা তদন্তে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি করেছে বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনী। পাশাপশি মারধরের সঙ্গে জড়িত জড়িত তিন আনসার সদস্যকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। প্রত্যাহার হওয়া তিন অঙ্গিভূত আনসার সদস্য হচ্ছেন আফসার, বিশ্বজিত ও বিরাজ মল্লিক।
[৩] শনিবার রাতে আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর উপ-পরিচালক (যোগাযোগ) মেহেনাজ তাবাস্সুম রেবিন ঘটনাটি অনঅভিপ্রেত উল্লেখ করে বলেন, বিষয়টি আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা অবহিত হওয়ার পর জড়িত আনসার সদস্যদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করতে জন্য সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেন।
[৪] বাহিনীর মহাপরিচালক মেজর জেনারেল কাজী শরীফ কায়কোবাদের নির্দেশে পরিচালক ও জোন অধিনায়ক, ঢাকা মহানগর আনসার (পূর্ব জোন) তাৎক্ষণিকভাবে তিজন আনসার সদস্যকে ক্লোজ করেন এবং ৩ সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেন। কমিটিকে তিন কার্যদিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। তদন্ত প্রতিবেদন প্রাপ্তি সাপেক্ষে জড়িত আনসার সদস্যদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে। এছাড়া বাহিনীর কোনো সদস্য সাংবাদিকদের সঙ্গে যেন কোনো অসৌজন্যমূলক আচরণ না করে তার জন্য সংশ্লিষ্ট সকল কর্মকর্তা-কর্মচারী ও সদস্য-সদস্যাদের প্রতি বাহিনীর মহাপরিচালক নির্দেশ দিয়েছেন।
[৫] আনসার বাহিনীর পাঠানো বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, করোনা পরীক্ষা করানোর জন্য মাকে নিয়ে মুগদা ৫০০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে শুক্রবার গিয়েছিলেন মুগদার দক্ষিণ মান্ডা এলাকার শাওন নামের একজন। তিনি মাকে নিয়ে সেখানে ভোর ৫টা থেকে লাইনে দাঁড়ান। ক্রমিক নং অনুযায়ী তার সিরিয়াল নং-৩৬। মুগদা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানায়, করোনা পরীক্ষার জন্য ১০০টি টোকেন দেয়া হয়েছে। এর মধ্যে ৫০টি বুথের ও ৫০টি হাসপাতালের জন্য। সে অনুযায়ী নির্দিষ্ট সংখ্যক পরীক্ষা হয়ে গেছে। আজ আর পরীক্ষা হবে না। তখন শাওন বলেন, আমরা তো ৩৬ নম্বরে, এখনো পরীক্ষার অনুমতি পেলাম না। এ নিয়ে শাওন ও কর্তব্যরত আনসার সদস্যদের মধ্যে বাগবিতন্ডতা শুরু হলে শাওন ‘অকথ্য ভাষায়’ আনসার সদস্যদের গালিগালাজ করে। এ সময় সেখানে দায়িত্বরত এনএসআইয়ের একজন ফিল্ড অফিসার শাওনকে গেটের ভিতরে নিয়ে যান এবং আনসার সদস্যদের গালিগালাজের বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করেন। তখন সেখানে উপস্থিত ২টি জাতীয় দৈনিক পত্রিকার ২জন ফটো সাংবাদিক ছবি তুলতে গেলে আনসার সদস্যরা ছবি না তোলার অনুরোধ জানান। এ নিয়ে বাদানুবাদের এক পর্যায়ে উভয় পক্ষের মধ্যে কথা কাটাকাটি এবং সামান্য হাতাহাতি ঘটে। যা অনভিপ্রেত।
[৬] মুগদা থানার ওসি প্রলয় কুমার সাহা বলেন, সাংবাদিকের ওপর হামলা বা ক্যামেরা ভাঙচুরের বিষয়ে থানায় কেউ কোনো অভিযোগ করেননি। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।