জেরিন আহমেদ: [২] গত ৬ মাসে যাত্রী ও পণ্যবাহী মিলিয়ে ১০৬টি ছোট-বড় দুর্ঘটনায় ১৫৩ জন নিহত ও ৮৪ জন আহত হন। ওই সকল দুর্ঘটনায় ২২ জন নিখোঁজ রয়েছেন।
[৩] শনিবার নৌ সড়ক ও রেলপথ রক্ষা জাতীয় কমিটি এবং গ্রিন ক্লাব অব বাংলাদেশ (জিসিবি) প্রকাশিত জরিপ প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে। ২৪টি জাতীয় ও ১০টি আঞ্চলিক দৈনিক এবং ৯টি অনলাইন নিউজপোর্টাল ও সংবাদ সংস্থার প্রতিবেদন থেকে চলতি বছরের পহেলা জানুয়ারি থেকে ৩০ জুন নৌ দুর্ঘটনার ওই তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করা হয়েছে।
[৪] প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দুর্ঘটনা ও প্রাণহানির এই সংখ্যা গত বছরের তুলনায় বেশি। গত বছরের প্রথম ছয় মাসে (জানুয়ারি থেকে জুন পর্যন্ত) নৌ দুর্ঘটনা ও প্রাণহানির সংখ্যা ছিল যথাক্রমে ৭৬ ও ৭১; যা চলতি বছরের একই সময়ের তুলনায় অনেক কম।
[৫] জরিপ প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চলতি বছরের জুন মাসে সবচেয়ে বেশি ২৬টি দুর্ঘটনায় ৫৯ জন নিহত হন। যার মধ্যে রয়েছে বুড়িগঙ্গায় লঞ্চডুবি। ২৯ জুন সকালে বড় লঞ্চ এমভি ময়ূর-২ এর ধাক্কায় যাত্রীবোঝাই ছোট লঞ্চ এমএল মর্নিং বার্ড নিমজ্জিত হয়ে ব্যাপক প্রাণহানি ঘটে। সেখান থেকে এ পর্যন্ত উদ্ধার করা হয়েছে ৩৪টি মরদেহ।
[৬] এ বিষয়ে নৌ সড়ক ও রেলপথ রক্ষা জাতীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক আশীষ কুমার দে বলেন, লঞ্চ দুর্ঘটনা সহনীয় মাত্রায় নেমে আসলেও বছরজুড়ে সারা দেশেই বিচ্ছিন্নভাবে যাত্রী ও পণ্যবাহী ছোট নৌযান দুর্ঘটনা ঘটছে। এতে লঞ্চের মতো একসঙ্গে অনেক যাত্রী মারা না গেলেও প্রায় প্রতিটি ঘটনায়ই এক বা একাধিক মানুষ নিহত হচ্ছে।
[৭] তিনি আরো বলেন, নৌ চলাচল ব্যবস্থার ওপর সংশ্লিষ্ট সরকারি সংস্থাগুলোর প্রয়োজনীয় নজরদারির অভাব, কঠোর তদারকির ক্ষেত্রে ওইসব সংস্থার জনবল সংকটসহ নানা সীমাবদ্ধতা, বিপুলসংখ্যক অবৈধ নৌযান চলাচল, দক্ষ মাস্টার ও ড্রাইভারের স্বল্পতা, দুর্বল আইন ও বিধিমালা এবং বিভিন্ন সময়ে দুর্ঘটনার জন্য দায়ীদের উপযুক্ত শাস্তি না হওয়ায় দূর্ঘটনা সহনীয় মাত্রায় আনা সম্ভব। সূত্র: সময় টিভি, বিডি নিউজ, সমকাল নিউজ