অনির্বাণ আরিফ: চীনের আশেপাশে এমন কোনো দেশ আছে, যার জায়গা চীন দাবি করে না? দুনিয়াতে এমন কোনো দেশ নেই যার দিকে চীনা কমিউনিজমের লোলুপ দৃষ্টি পড়েনি। এমনকি একেবারেই ছোট একটি দেশ ইসলামিক প্রজাতন্ত্র ব্রুনাইয়ের সঙ্গে ও চীনের সমস্যা আছে। গত নির্বাচনে মালয়েশিয়ায় মাহাথির মোহাম্মদ ক্ষমতায় আসায় মালয়েশিয়া বেঁচে যায় চীনের মুখগহ্বর থেকে। মালয়েশিয়ায় চীনের প্রচুর ঋণ ছিলো। কুয়ালালামপুর থেকে পাহাং রাজ্যের রাজধানী কুয়ান্তান পর্যন্ত রেললাইনের চুক্তি ছিলো বিশাল ঋণের মাধ্যমেই। পুরা রাজ্যই কঠিন পাথরের পাহাড়। মাহাথির ক্ষমতায় এসেই জনগণকে বললেন, ১০ টাকা করে দিতে। জনগণ সবাই টাকা দিয়েছে, ৩ মাসের মধ্যেই চীনের সমস্ত ঋণ শোধ করে সমস্ত লোনের মাধ্যমে কাজের চুক্তি বাতিল করেছে। না হলে লোনের বোঝা যেভাবে বাড়ছিল তাতে একসময় মালেকা বন্দর চীনকে দিতে বাধ্য হতো। চীনের নজর ছিলো মালেকা বন্দরের দিকে।
কারণ চীনের তেলের ট্যাংকার মালেকা প্রনালী দিয়েই যায়। এখন মালেকা প্রণালিতে বসে আছে আমেরিকার নৌবাহিনী যারা যেকোনো সময় চীনের তেলের সরবরাহ বন্ধ করে দিতে পারে এবং একসময় তা দিবেই। চীনের ঘেঁটুপুত্র হিসেবে খ্যাত পাকিস্তানকে চীন লোন দিয়ে এখন এমন অবস্থা করেছে যে লোনের কিস্তি শোধ না করায় পাকিস্তান হাজার হাজার সুন্দরী মেয়ে দিতে বাধ্য হয়। পাকিস্তান এখন চীনের সামরিক ঘাঁটি হিসাবে ব্যবহৃত হয়। শ্রীলঙ্কা ও তাদের বন্দর ৯৯ বছরের জন্য লীজ দিতে বাধ্য হয়েছে। আজকের যে রোহিঙ্গা সমস্যা তার নেপথ্যে ও চীন কারন আরাকানে এখন চীনের বন্দর ও ইকোনোমি জোন হিসাবে ব্যবহৃত হচ্ছে।
ফিলিপাইনের কয়েকটি দ্বীপ চীন দাবী করে। মাহাথির মোহাম্মদ ফিলিপাইনের প্রেসিডেন্ট দুতের্তোকে বলেছিল, চীন থেকে কোনো লোন নিবা না, যদি নাও তবে একসময় তোমার দেশ নিয়ে যাবে চীন। ফিলিপাইন চীনের লোন নেয়া বন্ধ করে দিয়েছে। ফিলিপাইনে এখন আমেরিকান ঘাঁটি। দক্ষিণ চীন সাগর এখন আমেরিকার দখলে, তাই চীন মরিয়া হয়ে উঠেছে তার তেলের সরবরাহ পথ নিরাপদ রাখতে। চীনের তেলের ট্যাংকার ভারতের আন্দামান, মালয়েশিয়ার মালেকা প্রণালি, ওইদিকে ফিলিপাইন হয়ে আসা ছাড়া আর কোনো উপায় নাই। ভারতের জন্য নয়। আমেরিকা পৃথিবীতে তার নিজের আধিপত্য বজায় রাখতেই চীনের তেলের সরবরাহ বন্ধ করতে আফাগানিস্থান থেকে সৈন্য সরিয়ে চীনের বিরুদ্ধে ব্যবহার করবে আর দক্ষিণ চীন সাগরে চীনের তেলের সরবরাহ বন্ধ করে দিলেই চীন তেলের অভাবে শুকিয়ে মরবে। করোনাভাইরাস চীনের জৈব অস্র। এই অস্র ব্যবহার করেই চীন চেয়েছিলো পৃথিবীর একক অধিপতি হতে। চীন আধুনিক বিশ্বের জন্য একটি মানবঘাতী ভাইরাস। কিন্তু বাংলাদেশের এক শ্রেণির চীনা মুরিদ মনে করে চীনের লগে আমাদের ছহবত করা ফরজ। অথচ তারা এটা জানে না চীন কখনো ছহবতের পর স্পার্ম স্পটে দেয় না, মুখে ঢেলে দেয়। ফেসবুক থেকে