ইসমাঈল ইমু : [২] গত ৬ মাসে সীমান্তে বিএসএফের গুলি ও নির্যাতনে বাংলাদেশিদের মৃত্যুর সংখ্যা গত বছরের তুলনায় বেড়েছে। বেসরকারি সংগঠন আইন ও সালিশ কেন্দ্রের (আসক) তথ্য বলছে, এ বছরের প্রথম ছয় মাসে (জানুয়ারি-জুন) সীমান্তে ২৫ জন বাংলাদেশি নিহত হয়েছেন। এর মধ্যে ২১ জনই নিহত হয়েছেন বিএসএফের গুলিতে।
[৩] সংগঠনটি বলছে, দেশের শীর্ষস্থানীয় কয়েকটি সংবাদপত্রে প্রকাশিত প্রতিবেদনের ভিত্তিতে তারা এই রিপোর্ট তৈরি করেছে।
[৪] প্রকাশিত প্রতিবেদনে দেখা যায়, ২০১৯ সালের প্রথম ছয় মাসে বিএসএফের গুলিতে ১৮ জন বাংলাদেশি নিহত হন। এ ছাড়া ভারতীয় সীমান্তরক্ষীদের নির্যাতনে দুই জনের মৃত্যু হয়। ২০১৮ সালের তুলনায় ২০১৯ সালে সীমান্ত হত্যার সংখ্যা তিনগুণ বেড়েছিল।
[৬] আসকের তথ্যমতে, ২০১৯ সালে বিএসএফের হাতে ৪৩ জন বাংলাদেশি প্রাণ হারিয়েছিলেন। এর মধ্যে ৩৭ জনই গুলিতে প্রাণ হারান। বাকি ৬ জন নির্যাতনে মারা যান। অথচ আগের বছর (২০১৮) এ সংখ্যা ছিল ১৪ জন।
[৭] প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০২০ সালের মাঝামাঝি সময় পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি নিহত হয়েছেন রংপুর ও রাজশাহী বিভাগের বিভিন্ন সীমান্তে।
[৮] বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তে ২০০৯ সালে বিএসএফের গুলি ও নির্যাতনে ৬৬ জন বাংলাদেশির মৃত্যু হয়। এ ছাড়া ২০১০ সালে ৫৫ জন, ২০১১ ও ২০১২ সালে ২৪ জন করে, ২০১৩ সালে ১৮ জন, ২০১৪ সালে ২৪ জন, ২০১৫ সালে ৩৮ জন, ২০১৬ সালে ২৫ জন, ২০১৭ সালে ১৭ জন নিহত হন।
[৯] অবশ্য ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) কর্মকর্তারা বলছেন, বিভিন্ন অপরাধের সঙ্গে জড়িতরা সীমান্তে ভারতীয় রক্ষীদের ওপর আক্রমণ করলেই কেবল প্রাণ বাঁচানোর স্বার্থে গুলি চালানো হয়।
আপনার মতামত লিখুন :