শোয়েব সর্বনাম : দ্যায়ার আর মেনি থিংস ইন হেভেন অ্যান্ড আর্থ যাহা আমরা জানি না। ইনফ্যাক্ট, যাহা ভাইরাল হয় না তার কিছুই আমরা জানতে রাজি না। দীর্ঘসময় পানির তলে বেঁচে থাকার আরও ঘটনা দুনিয়ার নানান জায়গায় আছে। এমনকি আমাদের দেশেই আছে। যেকোনো কারনেই হোক, এইরকম ঘটনাগুলো ভাইরাল হইতে ব্যর্থ হইছে। সবচেয়ে বড় কথা, ডুবে যাওয়া জলযানের ভেতরে আটকেপরা মানুষের বেঁচে থাকার লজিক আছে, বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা আছে। ব্যাখ্যাটা গুগল করলে পাওয়া যাবে। ২০১৩ সালে নাইজেরিয়ার একটি কোম্পানি ওয়েস্ট আফ্রিকান ভেঞ্চারস এর একটি লাইটার ভ্যাসেল সমুদ্রে ডুবে যায়।
ডুবে যাওয়ার তিনদিন পর ভ্যাসেল থেকে এক ব্যাক্তিকে জীবিত উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছিল শুধু এয়ারপকেট তৈরি হওয়ার কারণেই। বিস্তারিত নিউজটা সিএনএনে আছে। তবে এইরকম উদাহরণ পাইতে এতোদূর না গেলেও হবে। মাত্র ৩ বছর আগেই নারায়ণগঞ্জের শীতলক্ষ্যা নদীতে ডুবে যাওয়া বালুবাহী বাল্কহেডের ভেতর থেকে ২৮ ঘণ্টা পর সোহাগ হাওলাদার নামের এক লোকের জীবিত উদ্ধার করেছিলেন ডুবুরিরা। ঘটনাটার নিউজ হয়েছিলো দেশের সকল পত্রিকায়। টিভিতেও দেখিয়েছে সারাদিন। তবুও ভাইরাল হয়নি। বুড়িগঙ্গায় লঞ্চডুবির ১৩ ঘণ্টার পর জীবিত উদ্ধার হওয়া সুমন ব্যপারীর বেঁচে যাওয়ার ঘটনাটা অলৌকিক হইলেও অসম্ভব নয়।
লোকটা মধ্যবয়স্ক, ফলে তার ফুসফুস ও হৃদযন্ত্র শক্তিশালী। অসম্ভব মানসিক শক্তি আছে তার, সেই সাথে ছিল ভাগ্যের সহায়তা। সৃষ্টিকর্তার ইচ্ছায় ইঞ্জিনরুমের মধ্যে তৈরি হওয়াএয়ার পকেটের সুবিধাগুলো তিনি নিতে পেরেছেন। ফলে তিনি বেঁচে গেছেন। অনেক মৃত্যুও ভিড়ে একজন সুমন ব্যাপারি আমাদেরকে শোকের আহাজারির মধ্যে আশাবাদের ইশারা নির্দেশ করে। অলৌকিক নামের শব্দটাকে লৌকিক ও স্বার্থক করে তোলে। সুমন ব্যাপারীর দীর্ঘজীবন ও সুস্বাস্থ্য কামনা করি।
ফেসবুক থেকে