বাশার নূরু: [২] অতিবৃষ্টির কারণে সাম্প্রতিক বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে সংশ্লিষ্ট জেলা ও মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে সভা করেছেন প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
[৩] মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সঙ্গে অনুষ্ঠিত এ ভিডিও কনফারেন্সিংয়ে সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব ড. আহমদ কায়কাউস।
[৪] প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে একথা জানানো হয়।
[৫] বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ভিডিও কনফারেন্সিংয়ে অন্যদের মধ্যে সংযুক্ত ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিব মো. তোফাজ্জল হোসেন মিয়া, পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ সচিব, খাদ্য সচিব, রংপুর, রাজশাহী, সিলেট ও ময়মনসিংহের বিভাগীয় কমিশনারসহ ১২টি জেলার জেলা প্রশাসক।
[৬] পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব কবির বিন আনোয়ার বন্যা পরিস্থিতির সামগ্রিক চিত্র তুলে ধরেন এবং দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণসহ বন্যা মোকাবিলায় গৃহীত পদক্ষেপের কথা প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়কে অবহিত করেন।
[৭] করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের এ সময়ে বন্যা মোকাবিলায় স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের নিয়ে সমন্বিত উদ্যোগে পরিস্থিতি মোকাবিলা এবং ক্ষতিগ্রস্ত মানুষকে সহায়তার বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব জেলা প্রশাসকদের নির্দেশনা দেন।
[৮] জেলা প্রশাসকরা নিজ নিজ জেলার বন্যা পরিস্থিতি ও গৃহীত পদক্ষেপ তুলে ধরে বলেন, বন্যা পরিস্থিতি মোকাবিলা মাঠ প্রশাসনের সর্বাত্মক প্রস্তুতি রয়েছে এবং স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের সমন্বয়ে ত্রাণ তৎপরতা অব্যাহত রয়েছে। বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ সংরক্ষণ ও মেরামত, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ এবং কৃষিখাতের ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণ করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। পাশাপাশি ক্ষতিগ্রস্ত লোকজনকে উদ্ধার ও পুনর্বাসনের জন্য ইউনিয়ন/ওয়ার্ড কমিটি সার্বক্ষণিক কাজ করছে।
[৯] বন্যাকবলিত ৯টি জেলায় এ পর্যন্ত ৬৬০ মে. টন জিআর চাল ও ৬৭ লাখ টাকা জিআর ক্যাশ হিসেবে দেওয়া হয়েছে বলেও সভায় জানানো হয়।