লিহান লিমা: [২] মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও এ তথ্য জানিয়ে বলেছেন, হংকংয়ের স্বায়ত্বশাসন খর্ব করতে বেইজিংয়ের প্রস্তাবিত নিরাপত্তা আইন নিয়ে শাস্তির প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। বিবিসি
[৩] বৃহস্পতিবার মার্কিন সিনেট ‘হংকং স্বায়ত্ত্বশাসন আইন’ পাস করেছে। এর আওতায় হংকংয়ের স্বায়ত্ত্বশাসনের টুঁটি চেপে ধরার চীনের চেষ্টায় কেউ সমর্থন দিলে সেই ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান নিষেধাজ্ঞার কবলে পড়বে। এমন ব্যক্তি বা কোম্পানির সঙ্গে কোনো ব্যাংকের লেনদেন থাকলে সেই সব ব্যাংকের ওপরও নিষেধাজ্ঞা আরোপ হবে।
[৪] যুক্তরাষ্ট্রের এই সিদ্ধান্তের প্রতিক্রিয়ায় ওয়াশিংটনের চীনা দূতাবাস টুইটারে দেয়া এক বিবৃতিতে বলেছে, আমরা দ্রুত যুক্তরাষ্ট্রকে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের পাশাপাশি চীনের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে নাক গলানো বন্ধ করার আহ্বান জানাচ্ছি। আল জাজিরা
[৫] শুক্রবার জাতিসংঘ মানবাধিকার কমিশন বেইজিংয়ের ওপর ‘মৌলিক অধিকার’ ও ‘ব্যক্তি স্বাধীনতা’ লঙ্ঘনের অভিযোগ এনেছে। সংস্থাটি বলছে, হংকংয়ে গণতন্ত্রকামীদের বিরুদ্ধে রাসায়নিক হাতিয়ার ও অতিরিক্ত বলপ্রয়োগ করেছে বেইজিং।
[৭] মে মাসেই হংকংয়ের জন্য ঘোষণা দেয়া নতুন জাতীয় নিরাপত্তা আইনের রূপরেখা গত সপ্তাহে প্রকাশ করে বেইজিং। আইন অনুযায়ী, চীন বিরোধীতা দেশদ্রোহীতা বলে গণ্য হবে এবং চীন হংকংয়ে একাধিক নিরাপত্তা সংস্থা প্রতিষ্ঠা করতে পারবে। ৬ সেপ্টেম্বর হংকংয়ে আইনসভার ভোটের পূর্বেই এই আইন বলবত হতে পারে। সম্পাদনা: ইকবাল খান