জেরিন আহমেদ : [২] আর এ জন্য নেয়া হচ্ছে একগুচ্ছ নীতি পরিকল্পনা। এই পরিকল্পনার অংশ হিসেবে যেসব বিনিয়োগকারী চীন থেকে তাদের শিল্পকারখানা সরিয়ে এনে বাংলাদেশে স্থাপন করবেন তাদের করসুবিধাসহ নানা ধরনের প্রণোদনা দেয়া হবে।
[৩] এসব কোম্পানি ইচ্ছে করলে শতভাগ লভ্যাংশ নিজ দেশে বা অন্য কোনো দেশে নিয়ে যেতে পারবেন। এ জন্য ফরেন কারেন্সি একাউন্টের সব প্রক্রিয়া সহজ করা হচ্ছে। পাশাপাশি বাংলাদেশ ব্যাংক যেসব সার্কুলারের মাধ্যমে বিদেশী বিনিয়োগের বিষয়গুলো নিয়ন্ত্রণ বা মনিটরিং করে থাকে সেগুলোও শিথিল করা হবে। শুধু তাই নয়, বিনিয়োগ বাড়াতে প্রবাসী বাংলাদেশীদেরও দেয়া হবে নানা সুবিধা। কোম্পানিগুলোকে দেয়া হবে কর অবকাশ সুবিধাও।
[৪] এ বিষয়ে পদক্ষেপ নেয়ার জন্য অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ থেকে একটি চিঠি গত বুধবার বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরের কাছে পাঠানো হয়েছে বলে জানা গেছে।
[৫] এছাড়া চিঠিতে আরো বলা হয়েছে, কোভিড-১৯ পরিস্থিতিতে চীন থেকে অনেক বিদেশী শিল্পপ্রতিষ্ঠান তাদের বিনিয়োগ অন্যত্র সরিয়ে নিচ্ছে। এতে অন্যান্য দেশের সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। ইতোমধ্যে ভারত, ভিয়েতনাম এবং ইন্দোনেশিয়া বিদেশী বিনিয়োগ আকৃষ্ট করতে আইন, বিধিবিধান, করব্যবস্থা এবং ব্যাংকিং পদ্ধতি সহজ করেছে।
[৬] বিনিয়োগবান্ধব পরিবেশ নিশ্চিত করতে দেশগুলো সংশ্লিষ্ট আইনি কাঠামো, নীতিগত সহায়তা, ব্যাংকিং নিয়ম-নীতি ও পদ্ধতিতে প্রযুক্তির ব্যবহারসহ সবকিছুতেই ব্যাপক পরিবর্তন এনেছে। বাংলাদেশও বিদেশী বিনিয়োগের সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে চায়। এ লক্ষ্যে বাংলাদেশ থেকে বিদেশীরা যাতে তাদের বিনিয়োগকৃত অর্থের লভ্যাংশ সহজে নিজ দেশে বা অন্য কোনো জায়গায় নিয়ে যেতে পারেন সে বিষয়ে জোর দিচ্ছে সরকার। সূত্র: বিডি নিউজ, আর টিভি
আপনার মতামত লিখুন :