শাহীন খন্দকার: [২] কিটের সরবারহ নেই তাই বন্ধ করোনা টেস্টের বুথ। কোথাও আবার নির্দিষ্ট সংখ্যার বাইরে চাইলেও টেস্ট করা সম্ভব হচ্ছে না। দেশজুড়ে রোগী বাড়লেও সেই তালে বাড়ছে না টেস্টের সংখ্যা। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের প্রোগ্রাম ম্যানেজার ডা. মোহম্মদ জহিরুল করিম জানালেন, পর্যাপ্ত কিট মওজুদ না থাকলেও প্রতিদিনের আসছে চায়না থেকে ।
[৩] তিনি বলেন কিট আছে বলেই বৃহস্পতিবার দেশের ৬৬টি পরীক্ষাগারে নমুনা সংগ্রহ হয়েছে মোট ১৭,৫৮৬ টি এবং পূর্বের নমুনা সহ পরীক্ষা হয়েছে ১৭,৯৯৯ টি। এপর্যন্ত পরীক্ষা হয়েছে ৬,৭৮,৪৪৩ টি। গত ২৪ ঘণ্টায় ৩,৯৪৬জন নতুন রোগী ( সনাক্তের হার ২১.৯২% ) এ পর্যন্ত সনাক্ত ১,২৬,৬০৬ জন (সনাক্তের হার ১৮.৬৬% ।
[৪] আজ শুক্রবারও কিট আসছে চীন থেকে এবং শনি ও রবিবার আসছে আরো দুই লাখ কিট। তাই কিটের আপাতত কোন সংকট নেই বললেন তিনি।
[৫] স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের দেয়া তথ্য মতে, এ পর্যন্ত সাত লাখের বেশি কিট আনা হয়েছে। এর মধ্যে পাঁচ লাখ বিভিন্ন ভেন্ডরের মাধ্যমে ক্রয় করেছে কেন্দ্রীয় ঔষাধাগার সিএসএইচডি। বাকি দুই লাখ এসেছে বিভিন্ন দাতা সংস্থার কাছ থেকে। একাধিক প্রতিষ্ঠান কয়েক দফা কিট সরবারহ করলেও এখনো তাদের কোন রকম বিল পরিশোধ করা হয়নি বলে সিএমএইচডি সুত্র জানায়।
[৬] আমদানিকারক প্রতিষ্ঠানগুলো বলছে, টাকা না পেলে তারা নতুন করে আর এলসি খুলছেন না, এবং তারা বন্ধ রেখেছেন কিট আমদানি। ও এমসি লিমিটেডে পরিচালক মারুফ আহমেদ বলেন, এখন এমন একটা অবস্থা কোম্পানি বন্ধ করে দিয়ে ওদিক সাপ্লাই দিতে হবে। সিএমএইসিডিতো কাউকে কোন বিলই দিচ্ছে না। বলে যে প্রসেসিং-এ আছে, এই কথাতে মাস শেষ হয়ে যাচ্ছে। তিনি বলেন, মন্ত্রী পরিষদের দোহাই দেয়া হয়। আমরা তো কোন ফান্ড পাচ্ছি না তাই অর্ডারও দিতে পারছি না। সময়টিভি
[৭] স্বাস্থ্য অধিদপ্তর বলছে, কোভিড-১৯ মোকাবিলায় ৯০০ কোটি টাকা বাজেট থাকলেও হাতে পেয়েছে মাত্র আড়াই'শ কোটি টাকা। বাজেটের অন্তবর্তীকালীন সময় হওয়ায় বাকি বরাদ্দ পেতে রয়েছে জটিলতা। তবে চলতি মাসের শেষের দিকে সমস্যা মিটবে বলে জানান স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা, আবুল কালাম আজাদ। তিনি বলেন, ৩০ জুনের পরে আমরা একটা স্টান্ডার্ড অপারেটিং প্রসিডিউর তৈরি করবো। সম্পাদনা : সালেহ্ বিপ্লব