জেরিন আহমেদ: [২] বরগুনার আলোচিত শাহনেওয়াজ রিফাত (রিফাত শরীফ) হত্যার এক বছর পূর্ণ হচ্ছে শুক্রবার। এই দিনে বরগুনার কলেজ রোড এলাকায় স্ত্রীর সামনে প্রকাশ্যে কুপিয়ে হত্যা করা হয় রিফাত শরীফকে। এই নির্মমভাবে হত্যার পর থেকে দুর্বিষহ দিন কাটছে রিফাতের পরিবারের। হত্যাকারীদের ফাঁসি ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছেন তারা।
[৩] আইনজীবীরা বলছেন, করোনার ক্রান্তিকাল কাটিয়ে উঠলেই শেষ হবে বিচার। তবে এ হত্যার সময় ওঠা মাদকসহ, ক্ষমতাসীন দলের মধ্যক্যার দ্বন্দ্ব, যোগসাজশ নিয়ে ওঠা অভিযোগসহ রিফাতকে হত্যার কারণের জট খোলেনি আজো। সূত্র: দেম রুপান্তর, সময় নিউজ
[৪] তখন জানা যায়, ফেসবুকভিত্তিক ০০৭ নামের একটি মেসেঞ্জার গ্রুপে শাহনেওয়াজ রিফাতকে (রিফাত শরীফ) হত্যার পরিকল্পনা করেন হত্যাকারীরা। পরিকল্পনা অনুযায়ী ২৬ জুন বুধবার সকাল সাড়ে ১০টায় বরগুনার কলেজ রোড এলাকায় কুপিয়ে হত্যা করা হয় রিফাত শরীফকে। এই গ্রুপটির নামকরণ করা হয়েছিল জেমস বন্ড সিরিজের ০০৭ নামের সঙ্গে মিল রেখে। বন্ড গ্রুপের প্রধান ছিলেন নয়ন বন্ড এবং সেকেন্ড ইন কমান্ড রিফাত ফরায়েজী গ্রুপটি পরিচালনা করতেন।
[৫] বরগুনার কলেজ রোড এলাকায় ২০১৯ সালের ২৬ জুন সকাল সোয়া ১০টার দিকে প্রকাশ্য দিবালোকে স্ত্রী আয়শা সিদ্দিকা মিন্নি ও উপস্থিত শত শত মানুষের সামনে কুপিয়ে খুন করা হয় শাহনেওয়াজ রিফাতকে (রিফাত শরীফ)। এ ঘটনায় ২৭ জুন ১২ জনকে আসামী করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন রিফাতের বাবা দুলাল শরীফ।
[৬] এক এক করে যখন আসামিরা গ্রেপ্তার হচ্ছিল ঠিক সে মুহূর্তে ২ জুলাই ভোরে পুলিশের সঙ্গে 'বন্দুকযুদ্ধে' নিহত হন মামলার প্রধান আসামী সাব্বির আহমেদ নয়ন (নয়ন বন্ড)।
[৭] ঘটনা নতুন মোড় নেয় ১৬ জুলাই। এই দিন সকালে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য মামলার প্রত্যক্ষদর্শী সাক্ষি আয়শা সিদ্দিকা মিন্নিকে পুলিশ লাইনে নিয়ে এসে রাতে রিফাত শরীফ হত্যায় জড়িত থাকার অভিযোগে গ্রেপ্তার দেখানো হয়। এরপর ২৮ আগস্ট উচ্চ আদালত থেকে জামিনে বের হয়ে আসেন মিন্নি।
[৮] ১ সেপ্টেম্বর মিন্নিকে অভিযুক্ত করে প্রাপ্তবয়স্ক ১০ জন ও অপ্রাপ্তবয়স্ক ১৪ জনকে আসামী করে দুই ভাগে বিভক্ত মামলার চার্জশিট দেয় পুলিশ। বর্তমানে মামলাটি বরগুনা জেলা দায়রা জজ আদালত ও শিশু আদালতে বিচারাধীন রয়েছে। সম্পাদনা: জেরিন আহমেদ
আপনার মতামত লিখুন :